প্রতীকী ছবি।
আড়াই বছর আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল অসহিষ্ণুতা নিয়ে প্রশ্ন করে। এ বার নরেন্দ্র মোদীর জন্য অপেক্ষা করছে নাগরিক সমাজের বিক্ষোভ। কাঠুয়া, উন্নাও আর সুরাতের ধর্ষণের প্রতিবাদে।
কমনওয়েলথ-ভুক্ত রাষ্ট্রনায়কদের বৈঠক উপলক্ষে আজ রাতেই লন্ডনে আসছেন মোদী। ওয়েস্টমিনস্টারে অনাবাসী ভারতীয়দের জমায়েতে বিকেল চারটেয় বক্তৃতা করবেন তিনি। অনুষ্ঠানের নাম, ‘ভারত কি বাত, সবকে সাথ’। বৃহস্পতিবার থেকে কমনওয়েলথ বৈঠক।
কিন্তু ব্রিটেনে ভারতীয়দের একটা বড় অংশই কাঠুয়া-উন্নাও-সুরাতের ঘটনায় উদ্বিগ্ন এবং ক্ষুব্ধ। প্রায় হাজারেরও বেশি মহিলা কাল সাদা পোশাক পরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন, সুবিচারের দাবি জানাবেন। হোয়াট্স অ্যাপে বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে সকলকে বিক্ষোভে শামিল হওয়ার আবেদন জানিয়ে। ‘সাউথ এশিয়া সলিডারিটি’ এবং ‘আওয়াজ’-এর মতো সংগঠন এবং ব্রিটেনের শিখদের সংগঠনও প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে।
দু’দিন আগে ব্রিটেনের বর্তমান এবং প্রাক্তন ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা কাঠুয়া-উন্নাও নিয়ে মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন। অক্সফোর্ড এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ তাতে সই করেন। ব্রিটেনের ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টস অ্যান্ড অ্যালামনি ইউনিয়ন (এনআইএসএইউ) এবং আরও ১৯টি ভারতীয় ও ভারত-সম্পর্কিত সংগঠনও ওই চিঠিতে সই দিয়েছিল।
এখন পড়ুয়াদের অনেকের এবং এনআইএসএইউ-এর মতো সংগঠনের অভিযোগ, ওই চিঠি লেখার পরেই তাঁদের নানা হয়রানির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং অর্থাৎ আক্রমণ শানানো চলছে। স্বাক্ষর প্রত্যাহার করার জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছে এবং নানা মিথ্যে অভিযোগ রটানো হচ্ছে বলেও এনআইএসএইউ-এর দাবি। সংগঠনের তরফে এ দিন বলা হয়েছে, ‘‘সমগ্র ভারত এবং অনাবাসী ভারতীয়রা একযোগে একটি অরাজনৈতিক এবং আদ্যন্ত মানবিক প্রশ্ন তুলেছেন। সেটা যে ভাবে দমন করার চেষ্টা হচ্ছে, তা এক কথায় কদর্য, অবাঞ্ছনীয় এবং দেশবিরোধী।’’
সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মঞ্চে প্রচার চলছে যে, ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী হিসেবে অনেকের নামই তাঁদের বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এই অভিযোগও নস্যাৎ করে এ দিন এনআইএসএইউ বলেছে, কেউ না জেনে সই করেননি। চিঠিটি প্রত্যাহার করারও পরিকল্পনা নেই। বরং ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইক ইন্ডিয়া সামিট, ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড সাউথ এশিয়ান আর্টস সোসাইটি এবং ইন্ডিয়ান সোসাইটি ডি মন্টফোর্ট সোসাইটি ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করতে চেয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএসএইউ। তাদের বক্তব্য, ‘‘যুবসমাজের কণ্ঠ রোধ কোনও ভাবেই করা যাবে না।’’ ওয়েস্টমিনস্টারের বক্তৃতায় মোদী কাঠুয়া-উন্নাও-সুরাত নিয়ে তাঁর সরকার কী করছে, সে কথা স্পষ্ট জানাবেন, আশা পড়ুয়াদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy