আসিল কাতরান। ছবি: এএফপি।
ধসে গিয়েছে বাড়ি। পাশে পড়ে রয়েছে বোনের নিথর দেহ। সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই আতঙ্কে ভরা দু’টো নিষ্পাপ চোখ চেয়ে রয়েছে। রক্তে ঢাকা মুখ-হাত।
বিদ্রোহীদের দখলে থাকা উত্তর পশ্চিম সিরিয়া। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সেনা নিত্যদিন সেখানে অভিযান চালায়। বলি হয় সাধারণ জনতা। মঙ্গলবার পর্যবেক্ষক দল জানিয়েছে, তুরস্ক সংলগ্ন খান শেইখাউন শহর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন হাজার হাজার বাসিন্দা।
আসাদ সেনার সাম্প্রতিকতম বিমান হামলায় অন্তত তিন শিশু-সহ পাঁচ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জখম অসংখ্য। তাদের মধ্যেই ছিল ছোট্ট আসিল কাতরান। উদ্ধারকারীরা তাকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে বার করেন।
পাশেই পড়ে ছিল বোনের দেহ। ধুলো-ইঁট, সুরকির গুঁড়োতে ঢেকেছে নীলচে সোয়েটার। হাত-মুখ ভাসিয়ে দেওয়া রক্ত শুকিয়েছে মুখেই। স্থির দু’চোখ আতঙ্ক আর শূন্যতায় ভরা।
আরও পড়ুন: বাতিল হচ্ছে মিগ ২১, আকাশ যুদ্ধকে অন্য মাত্রা দিতে আসছে তেজস
এ তো গেল ভয়াবহতার একটা দৃশ্য। একটু চোখ ফেরালেই দেখা যাবে একরত্তি সন্তানের দেহখানা বুকে চেপে হাহাকার করছেন বাবা। মর্গে নিয়ে যাওয়ার আগে নিথর পা দু’টো নিজের মুখে চেপে ধরছেন সন্তানহারা। এমনই অসংখ্য টুকরো টুকরো কোলাজেরই নাম এখন খান শেইখাউন শহর।
আরও পড়ুন: জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের প্রমাণ আছে, সময়মতো প্রকাশ্যে আনা হবে, জানাল ভারতীয় সেনা
আরও পড়ুন: 'আমি পাকিস্তানি, কিন্তু যুদ্ধ চাই না', অভিনন্দনের মুক্তি চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে তরুণী
গত দশ দিন ধরে উত্তর পশ্চিম অংশে লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সিরীয় সেনা। চলছে অবিরাম শেলিং, বিমান হামলা। সূত্রের খবর, ইদলিব ও উত্তর সিরিয়া সংলগ্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই ১৩টি বিমান হামলা চালিয়েছে সিরীয় সেনা। সিরিয়ায় আসা ব্রিটেনের মানবাধিকার পর্যবেক্ষক দলের ডিরেক্টর রামি আবদুলরহমান জানান, দামাস্কাস-আলেপ্পো আন্তর্জাতিক রোড-কে নিশানা করেই বেশি বোমা ফেলছে আসাদ-বাহিনী। আর এ সবের জেরে খান শেইখাউন এখন ভুতুরে শহর। সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, হামা প্রদেশের উত্তর অংশের বেশ কয়েকটি শহরে রকেট ছোড়ে বাহিনী। যার জেরে এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
ইদলিবে ভারী অস্ত্র ব্যবহারের উপরে রাশ টানা নিয়ে গত বছরই রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সিরিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল। তবে সে চুক্তি ভেঙে বারবারই আঘাত হেনেছে আসাদ বাহিনী। এ নিয়ে মস্কোও বেশ কয়েক বার অভিযোগ তুলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy