‘Ghost of Kyiv’ killed in the battle last month, Ukraine releases his name dgtl
Ghost of Kyiv
Ghost of Kyiv: রাশিয়ার গুলিতে মৃত্যু ইউক্রেনের বহুচর্চিত সেই ‘ঘোস্ট অব কিভ’-এর, প্রকাশ্যে এল নামও
গত মাসেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে মারা গিয়েছেন ‘ঘোস্ট অব কিভ’। যুদ্ধের প্রথম দিনেই রুশ বাহিনীর ছ’টি যুদ্ধবিমানকে গুলি করে ধ্বংস করেছিলেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা
কিভশেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২ ১৫:২৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
ইউক্রেনের চোখে তিনি ‘হিরো’। তিনি আবার কিভের ‘ঘোস্ট’ও বটে। মেঘনাদের মতো আড়ালে থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিমান নিয়ে হামলা চালিয়ে গিয়েছেন। একা হাতে ৪০টি রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছেন। কিভের সেই ‘ঘোস্ট’-এর প্রকৃতপক্ষেই মৃত্যু হয়েছে। দ্য টাইম-এর রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে।
০২১৫
গত মাসেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে মারা গিয়েছেন ‘ঘোস্ট অব কিভ’। তিনি আছেন কি নেই, যাঁকে ঘিরে এত জল্পনা অবশেষে সেই ‘ঘোস্ট’-এর আসল পরিচয়ও প্রকাশ্যে এসেছে।
০৩১৫
‘ঘোস্ট অব কিভ’-এর আসল নাম মেজর স্টেপান তারাবালকা। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, গত ১৩ মার্চ রুশ বাহিনীর উপর হামলা চালানোর সময় শত্রুপক্ষের গোলায় তাঁর মিগ ২৯ বিমান ধ্বংস হয়ে যায়। সেই হামলাতেই নিহত হন কিভের ‘ঘোস্ট’।
০৪১৫
যুদ্ধের প্রথম দিনেই রুশ বাহিনীর ছ’টি যুদ্ধবিমানকে একাই গুলি করে ধ্বংস করেছিলেন মেজর তারাবালকা। তাঁকে ইউক্রেন সরকার ‘গার্ডিয়ান এঞ্জেল’ বলে উল্লেখ করে। কিন্তু সেই সময় তাঁর পরিচয় গোপন রেখেছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি।
০৫১৫
‘ঘোস্ট অব কিভ’ নামেই তাঁর পরিচয় প্রকাশ পায়। এক জন দক্ষ সেনাকে শত্রুপক্ষের নজর থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই ধরনের একটি কাল্পনিক নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। একাই রুশ বাহিনীর ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন ‘ঘোস্ট অব কিভ’।
০৬১৫
ইউক্রেন সরকার ‘ঘোস্ট অব কিভ’ নামে বেশ কয়েকটি ভিডিয়োও প্রকাশ করে। কিন্তু রাশিয়া দাবি করে, সেনাদের মনোবল বাড়াতে ‘ঘোস্ট অব কিভ’ নামে কাল্পনিক চরিত্রের ভিডিয়ো প্রকাশ করছে ইউক্রেন। যদিও সেই দাবি নস্যাৎ করেছে ইউক্রেন।
০৭১৫
টুইটারে ইউক্রেন সরকার দাবি করে, ‘২০২২ সালে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ান হানাদারির প্রথম ৩০ ঘণ্টায় রাশিয়ার ছ’টি যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামিয়েছে ‘ঘোস্ট অব কিভ’। এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০টি সামরিক বিমানকে ধ্বংস করেছে।’
০৮১৫
এর সঙ্গে মন্তব্য, ‘(আকাশপথে যুদ্ধে) ওস্তাদ বিমানচালক হতে গেলে কমপক্ষে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা বা়ঞ্ছনীয়। তবে ‘ঘোস্ট অব কিভ’ তার দ্বিগুণ সংখ্যক বিমানকে গুলি করে মাটিতে নামিয়েছে।
০৯১৫
অদম্য সাহসিকতার জন্য ইউক্রেনের সেরা সাহসিকতার পুরস্কার ‘অর্ডার অব দ্য গোল্ডেন স্টার’ সম্মান দেওয়া হয়েছে মেজর তারাবালকাকে। মৃত্যুর পর তাঁকে এই সম্মান দিয়েছে ইউক্রেন সরকার।
১০১৫
‘দ্য টাইম’-এর প্রতিবেদন বলছে, পশ্চিম ইউক্রেনের ছোট্ট গ্রাম করোলিভকায় অতি সাধারণ পরিবারে জন্ম ‘ঘোস্ট অব কিভ’-এর।
১১১৫
ছোটবেলা থেকেই পাইলট হওয়ার ইচ্ছা ছিল তারাবালকার। গ্রামের উপর দিয়ে মাঝেমধ্যেই যুদ্ধবিমান গর্জন করে উড়ে যেত। সেই বিমানগুলিকে দেখে পাইলট হওয়ার খিদেটা আরও বেড়ে যায় তারাবালকার।
১২১৫
মেজর তারাবালকার বাবা-মা এখনও জীবিত। তাঁর স্ত্রীর নাম ওলেনিয়া। আট বছরের ছেলে ইয়ারিক। খারকিভ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন তারাবালকা।
১৩১৫
তারাবালকার মা নাটালিয়া বলেন, “বায়ুসেনার যখন মহড়া চলত, তারাবালকা আকাশের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকত। প্যারাট্রুপাররা কোথায় নামছেন সেই দিক বরাবর ছুটে যেত। ছোটবেলা থেকেই আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখত ছেলে। মেঘের সঙ্গে খেলা করার স্বপ্ন দেখত ও।”
১৪১৫
তারাবালকার বাবা ইভন বলেন, “কোথায় পাঠানো হচ্ছে তারাবালকাকে সে সম্পর্কে আমরা কেউই জানতাম না। শুধু জানতাম ওকে যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু ও আর ফিরে আসেনি। এইটুকু তথ্যই আমাদের কাছে আছে।”
১৫১৫
নাটালিয়া আরও বলেন, “তারাবালকা নিজের চেষ্টাতেই পাইলট হয়েছিল। ও যাতে ওর লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে আমরা শুধু সেটাই চেয়েছিলাম। আজ ওর মৃত্যুর পর সাহসিকতার সেরা সম্মান দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ও এই সম্মান অনেক আগেই পেয়ে গিয়েছে।”