জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল। ছবি- এপি।
শরণার্থী-সমস্যার ‘যন্ত্রণা’ নিয়েই দুই জার্মানির মিলেমিশে এক হয়ে যাওয়ার ২৫ বছর-পূর্তির অনুষ্ঠান আজ বার্লিনে পালিত হচ্ছে।
ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে জার্মানির ‘রাজদণ্ড’ যাঁর হাতে, সেই চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের জন্ম আর বেড়ে ওঠা সাবেক পূর্ব জার্মানিতে হলেও, ২৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে তাঁর ‘জন্মভূমি’র দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য কোনও আশার কথা তিনি এ দিন শোনাতে পারেননি।
মর্কেল বলেছেন, ‘‘দু’টুকরো হয়ে যাওয়া দেশটাকে যখন অত দিন পরে আমরা জুড়তে পেরেছি আর গত ২৫ বছর ধরে যখন তাকে এক রাখতে পেরেছি, তখন যত সমস্যাই থাকুক, আশা করি, তা মেটাতে পারব।’’
দুই জার্মানি ২৫ বছর আগে জুড়ে গেলেও, তাদের মানুষের আশা-আকাঙ্খাগুলি কি পুরোপুরি মিটেছে?
সরকারি তথ্য বলছে, পূর্ব আর পশ্চিমের অসাম্য-বঞ্চনা বেড়েছে। বেড়েছে বেকারি, দারিদ্র্য। অভাবে স্কুল ছাড়ার ঘটনা বেড়েছে। হালে, তার সঙ্গে জুড়েছে শরণার্থী-সমস্যা।
নব্বইয়ের দশকের একেবারে গোড়ার দিকে ভেঙে গিয়েছিল বার্লিন প্রাচীর। আর পূর্ব ও পশ্চিম-এই দুই জার্মানি আনুষ্ঠানিক ভাবে জুড়ে গিয়ে এক হয়ে গিয়েছিল ’৯০-র ৩ অক্টোবর। দু’টি দেশ জুড়ে গেলে তাঁদের অভাব ঘুচবে, এই আশায় পূর্ব জার্মানি ছেড়ে বহু মানুষ সেই সময় চলে এসেছিলেন পশ্চিমে। অনেকেই বেচে দিয়েছিলেন সে দিন পূর্ব জার্মানিতে তাঁদের ভিটে আর জমিজিরেত।
তার পর ২৫ বছরে তাঁদের হতাশার বহরই বেড়েছে শুধু। এ বার তাই উল্টোমুখী স্রোত। ‘পুরনো ভিটে’য় ফেরার উৎসাহ। যা প্রথম নজরে এসেছিল ২০১৩-য়।
তবে, ফেলে আসা জায়গায় ফিরে গেলেও যে কতটা ভালো থাকা যাবে, তা নিয়ে তাঁদের সন্দেহ-সংশয় রয়েছে যথেষ্টই!
এই ‘দোলাচলেই’ পালিত হচ্ছে দুই জার্মানির এক হওয়ার ২৫ বছর-পূর্তির উৎসব-অনুষ্ঠান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy