বাংলাদেশের গাজি টায়ার্সের আগুন নিয়ন্ত্রণে। ছবি: সংগৃহীত।
৩২ ঘণ্টা পর আগুন নিভল বাংলাদেশের গাজি গ্রুপের টায়ার উৎপাদকারী কারখানার। ছ’তলা বাড়ি এ বার ধসে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রবিবার রাত থেকে দাউদাউ করে জ্বলছিল ওই বাড়িটি। বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিসের আশঙ্কা, দীর্ঘ সময় আগুনে পোড়ার ফলে সেটি ভেঙে পড়তে পারে। মঙ্গলবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় বাড়ির মধ্যে ঢুকে উদ্ধারকাজ সম্ভব হচ্ছে না বলে ‘প্রথম আলো’কে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
‘প্রথম আলো’তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের কর্তা আনায়োরুল হক জানিয়েছেন, বাড়িটি অনেক ক্ষণ ধরে আগুনে পুড়েছে। ফলে তাপে বাড়ির ভিত নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বাড়ি মধ্যে ঢুকে উদ্ধারকাজ করা হচ্ছে না এখনই। মই দিয়ে বাড়ির ছাদে উঠে হতাহতের খোঁজ করা হচ্ছে। সকাল থেকে ছ’তলা ভবনটির বিভিন্ন অংশ খসে পড়তে দেখা গিয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ভবনের আশপাশে কাউকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
কী ভাবে আগুন লাগল এই ভবনে? ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ কয়েক জন দুষ্কৃতী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাজি টায়ার্সের বাড়িতে ঢোকে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ওই কারখানার মধ্যে লুটপাট চালানো। সে সময়ই দুষ্কৃতীর বাড়ির নীচের তলায় সিঁড়ির মুখে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। কারখানার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়ায়।
রবিবার রাত থেকে আগুন জ্বলতে থাকে ওই বহুতলে। সোমবার সন্ধ্যায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভেনি। মঙ্গলবার সকালে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। আচমকা আগুন লাগায় ওই বাড়ির মধ্যে অনেকের আটকে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এক অসমর্থিত সূত্র ‘প্রথম আলো’কে জানিয়েছে, আগুন লাগার ঘটনায় ১৭৫ জনের বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ। বাড়ির সামনে ভিড় করছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিজন। সকলের চোখে মুখেই আতঙ্কের ছাপ। ফায়ার সার্ভিসের তরফে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলেই খবর।
নারায়ণগঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজি ছিলেন এই টায়ার কারখানার মালিক। রবিবার ভোরে ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাসিনার মন্ত্রিসভায় বস্ত্র এবং পাটমন্ত্রী ছিলেন গোলাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy