ফুমিয়ো কিশিদা। ফাইল চিত্র
চলতি মাসের গোড়ায় ইয়োশিহিদে সুগার জায়গায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছিলেন ফুমিয়ো কিশিদা। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই নির্বাচনের ডাক দেন কিশিদা। আজ দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছতে তাই ভোট দিলেন জাপানের সাধারণ মানুষ। শাসক দল লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিই (এলডিপি) ফের জাপানের পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা বজায় রাখতে পারবে কি না, সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, কিশিদার দল এই নির্বাচনে হারলে জাপানে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হবে। তবে দিনের শেষে ভোট গণনা করে দেখা গিয়েছে, কিছু সংখ্যক আসন নিয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠতা বজায় রাখতে পেরেছে কিশিদার দল।
২০২০ সালে শিনজো আবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা চলছে জাপানে। তাঁর জায়গায় প্রধানমন্ত্রী হন ইয়োশিহিদে সুগা। কিন্তু পূর্বসূরি আবের মতো জনপ্রিয় ছিলেন না সুগা। ফলে বছর খানেকের মধ্যেই তাঁকে সরিয়ে কিশিদাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসায় তাঁর দল।
কিন্তু তাতে লাভ হয়নি তেমন। উল্টে করোনা অতিমারি সামলাতে এই নতুন প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত ব্যর্থ বলে অভিযোগ ওঠে দেশ জুড়ে। ৬৪ বছরের কিশিদা অতিমারিতে বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য কয়েক হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন ইতিমধ্যেই। তবে তাতেও দেশের সাধারণ মানুষ খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না। জনমত সমীক্ষায় ধরা পড়ছিল এলডিপি-র জনপ্রিয়তা হারানোর ছবিটা।
তাই আশঙ্কা ছিল, বেশ কিছু আসন হারাতে পারে কিশিদার দল। সেই আশঙ্কা খানিকটা সত্যিও হয়েছে। ভারতীয় সময় গভীর রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও ৪০টির মতো আসনে ফল ঘোষণা বাকি। তবে জোট সঙ্গী কোমেয়িতোকে সঙ্গে নিয়ে এলডিপি ৪৬৫ আসনের নিম্ন কক্ষে ২৭৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। একক ভাবে লড়ে ২৪৭টি আসন পেয়েছে কিশিদার দল। কোমেয়িতো পেয়েছে ২৭টি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy