ফরাসি সংবিধান কাউন্সিলের সদস্যরা। ছবি: এএফপি
মাত্র একটা ‘e’। আর তা নিয়েই আপাতত তোলপাড় ফরাসি আইনসভা। ফরাসি সংবিধানে ৬০ বছরের পুরনো এই ভুল শোধরাতে এখন উঠেপড়ে লেগেছেন ফ্রান্সের আইনসভার সদস্যরা। ব্যাকরণগত এই ভুলটা শোধরানো হয়নি কখনও।
১৯৫৮ সালে প্রেসিডেন্টের হাতে রাষ্ট্রের ক্ষমতাভার এল যখন, ভুলটা সেই তখনকার। সংবিধানের ১৬তম পরিচ্ছেদ ভুলবশতই ইংরাজি ‘থ্রেটেনড’ শব্দটির পুং লিঙ্গ বসেছিল। কিন্তু ফরাসি ভাষার ব্যাকরণ অনুযায়ী আসলে এই শব্দটির স্ত্রী লিঙ্গ বসবে একটি বাক্যে। ফরাসি ভাষায় এই শব্দটি হল menaces। কিন্তু সঠিক শব্দটি হবে menacees, অর্থাৎ একটা ‘e’ জুড়বে। আর এই একটামাত্র ‘e’-কেই ৬০ বছর পর আপডেট করে নিতে চাইছেন দক্ষিণপন্থী ইউডিআই-এজিআইআর আইনসভার সদস্যরা।
সংবিধানের কমিশন মোটেও এক কথায় রাজি হয়নি এই ভুল শুধরে নিতে। তবে এটা একটা ভাল প্রস্তাব, এমনটাই জানিয়েছে তারা। ১০ জুলাইয়ের একটি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান কমিশনের এক সদস্য।
ফরাসি সংবিধান কাউন্সিলের বৈঠকের আগে। ছবি: এএফপি
‘রেস’ অর্থাৎ জাতি শব্দটা ফরাসি সংবিধান থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে চলতি বছরের ২৭ জুনেই। জাতিবৈষম্য শব্দটির বদলে এ বার থেকে ব্যবহার করা হবে লিঙ্গবৈষম্য, এমনটাই জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। সংবিধানে এই সংশোধন হয়েছে আইনসভার সদস্যদের প্রত্যেকের সম্মতিতেই। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এই শব্দটি। এ বার পালা টাইপো ঠিক করার।
আরও পড়ুন: মার্কিন সংবাদপত্রের দফতরে বন্দুকবাজের হামলা, হত অন্তত ৫
আরও পড়ুন: মা কোথায়? উত্তর জানে না ট্রাম্পের আমেরিকা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy