তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন তিনি। বুধবার এক রিপোর্টে ফরাসি গোয়েন্দাদের দাবি, সিরিয়ার খান শেইখুন শহরে রাসায়নিক গ্যাস দিয়েই হামলা হয়, আর তা করেছিল সে দেশের প্রেসিডেন্ট বাশার-আল আসাদের অনুগত বাহিনীই।
গত ৪ এপ্রিল খান শেইখুন শহরে সারিন গ্যাসের হামলায় মৃত্যু হয় প্রচুর মানুষের। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল শিশু। অভিযোগের আঙুল ওঠে আসাদের দিকে। ওই হামলার পরপরই সিরীয় সেনার বিমান ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় আমেরিকা। কিন্তু আসাদের দাবি, তাঁদের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র নেই। উল্টে সে দিনের হামলার দায় তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো বিদ্রোহীদের উপরই চাপিয়ে দেন আসাদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া মৃত শিশুদের ছবিগুলি পর্যন্ত ভুয়ো বলে দাবি করেছিলেন আসাদ। আর গোটা বিষয়টিতে প্রথম থেকেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া সরকার। কিন্তু আমেরিকা-সহ বেশির ভাগ পশ্চিমী দেশ বলে এসেছে, এটা রাসায়নিক হামলাই ছিল, আর তার পিছনে আসাদ ছাড়া আর কারও হাত ছিল না। ফ্রান্স সম্প্রতি জানিয়েছিল, সে দিনের হামলায় যে রাসায়নিক অস্ত্রই ব্যবহৃত হয়েছিল, তার প্রমাণ তাদের কাছে আছে। সময় এলে তা প্রকাশিত হবে।
এ দিন ফ্রান্সের ক্যাবিনেটে পেশ করা ওই রিপোর্টের প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন ফরাসি গোয়েন্দারা। ফরাসি বিদেশমন্ত্রী জঁ মার্ক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে জোগাড় করা বেশ কিছু তথ্য ও হামলায় আহত এক ব্যক্তির রক্তের নমুনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, ৪ তারিখের ওই হামলায় হেক্সামাইন ব্যবহার করা হয়েছিল। আসাদ সরকার যে রাসায়নিক গ্যাস তৈরি করে তাতেও ওই একই ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়। সিরিয়ায় আগে হওয়া বেশ কিছু হামলার সময়কার উপাদানও সংগ্রহে ছিল ফরাসি গোয়েন্দাদের। সব কিছু মিলিয়ে গোয়েন্দাদের সিদ্ধান্ত, আসাদ ও তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কিছু সহযোগীর নির্দেশ ছাড়া ওই ধরনের হামলা চালানোর ক্ষমতা আর কারও নেই। বিদ্রোহীদের কাছে এত অত্যাধুনিক রাসায়নিক অস্ত্রই নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy