ছবি: সংগৃহীত।
ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম কোনও জাহাজ ছাড়ল ইউক্রেনের বন্দর থেকে। সোমবার সকালে ওডেসা বন্দর থেকে শস্যদানা নিয়ে কৃষ্ণসাগরে যাত্রা শুরু করেছে একটি জাহাজ।
গোটা বিশ্বে শস্য রফতানিকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম রাশিয়া ও ইউক্রেন। এই দুই দেশে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে খাদ্যের আকাল দেখা দিয়েছে বহু জায়গায়। সর্বত্র খাদ্যদ্রব্যের আকাশছোঁয়া দাম। আফ্রিকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এ অবস্থায় সম্প্রতি ইস্তানবুলে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে সই করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। দু’দেশের মধ্যে চুক্তি হয়, কৃষ্ণসাগরে কোনও জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাবে না কেউ। কিন্তু এই চুক্তির পরের দিনই ওডেসা বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রাশিয়া। সেই নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মস্কো অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে। এ ঘটনার বেশ কিছু দিন পরে অবশেষে আজ কৃষ্ণসাগরে ধরে আফ্রিকার দিকে পাড়ি দিল ইউক্রেনের জাহাজ। গুতেরেস অভিনন্দন জানিয়েছেন কিভকে। তিনি বলেন, ‘‘এ বার কিছুটা স্বস্তি পাবে বিশ্ব... তবে মস্কো যদি কোনও গোলমাল না করে।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জ বারবারই জানিয়ে আসছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে শুধু এই দুই দেশের মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত নয়, বহির্বিশ্বের আরও কয়েক কোটি মানুষ অভুক্ত থাকছেন।
ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ়োনি পণ্যবাহী জাহাজটি একটি বিশেষ করিডর ধরে এগোবে। কারণ কৃষ্ণসাগরের বিভিন্ন জায়গায় মাইন ছড়িয়ে রেখেছে রাশিয়া। তাই একটি বিশেষ নিরাপদ করিডর তৈরি করা হয়েছে। জাহাজে ২৬ হাজার টন ভুট্টা রয়েছে। তুরস্ক জানিয়েছে, ২ অগস্ট জাহাজটি ইস্তানবুলে ঢুকবে। তার পর সেখান থেকে পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে।
সিয়েরা লিয়নের জাহাজ রাজ়োনি। এটি যাবে লেবাননের ত্রিপোলিতে। আরও বেশ কিছু পণ্যবাহী জাহাজ ইউক্রেন থেকে রওনা দেওয়ার অপেক্ষায়। ইউক্রেনের মন্ত্রী আলেক্সান্ডার কুব্রাকোভ জানিয়েছেন, ১৬টি জাহাজ ওডেসা থেকে পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy