—ফাইল চিত্র।
ইজ়রায়েল যদি আর কোনও ‘ভুল’ না করে, তবে তেহরান আর পদক্ষেপ করবে না— শনিবার ৩০০টিরও বেশি ড্রোন হামলার পরে স্পষ্ট ভাবে এই দাবি করেছে ইরান। যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো ছাড়া এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে পদক্ষেপ করেনি ইজ়রায়েল। তবে, তাতে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি। তাদের দাবি, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রের উপর হামলা চালাতে পারে ইজ়রায়েল।
ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পাল্টা জবাব ‘তেতো’ লাগবে এমন অস্ত্র তাদের হাতে রয়েছে। সে অস্ত্র তারা আগে ব্যবহারও করেনি, ফলে ইজ়রায়েলের কোনও ধারণা নেই। এই আবহে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে কোন দেশ সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
সরকারি ভাবে কোনও হামলা না করলেও নিজেদের অবস্থান কিন্তু স্পষ্ট করেছে ইজ়রায়েল। সোমবার সে দেশের সামরিক দফতরের আধিকারিকেরা জানান, ইরানের হামলার একটি স্পষ্ট ও তীব্র প্রত্যাঘাত করা প্রয়োজন। তাদের এফ-১৬, এফ-১৫ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলি তৈরি হচ্ছে সেই প্রত্যাঘাতের জন্য। তবে হামলার তারিখ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি ইজ়রায়েল। এ-ও জানিয়েছে, আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু করার ইচ্ছা তাদের নেই। এই বিষয়ে ইজ়রায়েলকে নিষেধ করে জো বাইডেনও জানিয়েছেন, ইজ়রায়েল পাল্টা হামলা করলে আমেরিকা সাহায্য করবে না।
এই প্রসঙ্গে কটাক্ষের মুখে পড়েছেন বাইডেনও। দাবি উঠেছে, ইরানের হামলার নিন্দা করলেও ইরানের তেল রফতানিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি আমেরিকা। তার দু’টি কারণ, এটি আমেরিকায় নির্বাচনের বছর। আর, ইরানের তেলের ক্রেতা চিন, সুতরাং নিষেধাজ্ঞা জারি হলে চিন-আমেরিকা সংঘাত বেধে যেতে পারে। তাই ইরানকে স্রেফ ‘সমালোচনা’ করেই ক্ষান্ত দিয়েছেন বাইডেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy