রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে রবিবার জানানো হয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে ২৬০ জন অসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে শরণার্থী হয়ে গিয়েছেন।
য়ুদ্ধবিধ্বস্ত কিভ।
ইউক্রেনের রাজধানী কিভ ছেড়ে পালানোর রাস্তাতেই বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে রুশ বাহিনী। সেই বিস্ফোরণের অনেকে হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কিভের মেয়র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শহর ছাড়তে গিয়ে তাঁর চোখের সামনেই এক পরিবারের সকলে মারা গিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার চোখের সামনে দু’টি ছোট্ট শিশু এবং দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মারা গিয়েছেন।’’ একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতেও দেখা যাচ্ছে দেহগুলি প্লাস্টিকের চাদরে ঢাকা রয়েছে। তাদের সামনে রয়েছে একটি সুটকেস।
কিভের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, ক্রমবর্ধমান মানবিক সঙ্কটের সামধানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। এই আবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘রাশিয়ার হামলার ফলে হাজার হাজার মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন। কিছু এলাকায় গত পাঁচ-সাত দিন ধরে জল, খাবার, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা নেই। তাদের জীবিকা নির্বাহের কোনও উপায় না থাকায় তাঁরা অসহায় অবস্থা দিন কাটাচ্ছেন।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে রবিবার জানানো হয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে ২৬০ জন অসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে শরণার্থী হয়ে গিয়েছেন।
ইউক্রেনের অভিযোগ, খারকিভের একটি পরমাণু চুল্লির কাছে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এই হামলা চালাতে তারা যে গ্র্যান্ড লঞ্চার ব্যবহার করছে, তার নিশানা তেমন পোক্ত নয়। ফলে যে কোনও মুহূর্তে ওই পরমাণু চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এক বার যদি সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, তবে তার প্রভাব ইউরোপের দেশগুলিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy