চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
বন্ধু হয়ে উঠতে চেয়েছে চিন। কিন্তু বেজিং সম্পর্কে ভয়-ভীতি কাটানো সম্ভব হয়নি এশিয়ায়। কোটি কোটি ডলার অর্থসাহায্য দিয়ে, নিত্যনতুন প্রযুক্তি-প্রকৌশল শিখিয়ে, সামরিক সহায়তা বাড়িয়ে ‘বন্ধু’ হয়ে ওঠার বিস্তর চেষ্টা করলেও এশিয়ার বিভিন্ন অংশে সাধারণ মানুষের হৃদয় কিন্তু জয় করতে পারেনি চিন। ‘দাদা’ই থেকে গিয়েছে! সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এ কথা জানিয়েছে।
ভার্জিনিয়ার উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি কলেজের এইডডেটা রিসার্চ ল্যাবের গবেষণা বলছে, প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং গত ৬ বছরে বিদেশমন্ত্রকের অর্থবরাদ্দ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছেন। ছিল ৩ হাজার কোটি ইউয়ান (চিনা মুদ্রা)। হয়েছে ৬ হাজার কোটি ইউয়ান। যার মূল লক্ষ্য ছিল এশিয়ার দেশগুলিতে চিনা কূটনীতিকে আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়া।
গত ৬ বছর ধরে এশিয়ার দেশগুলিতে চিনা কূটনীতি উপস্থিতি বাড়িয়েছে নানা ভাবে। কোথাও অর্থসাহায্যের পরিমাণ বাড়িয়ে, বা পরিকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করে। কোথাও বা সামরিক প্রযুক্তি-প্রকৌশল বা সমরাস্ত্র দিয়ে। আবার কোথাও চিনের ভাষা ও সংস্কৃতি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে। কিন্তু এত সব করেও এশিয়ার সেই সব দেশে আমজনতার হৃদয় জয় করতে পারেনি বেজিং, জানাচ্ছে গবেষণা। চিনের সেই ‘বদান্যতা’ বেশি টের পেয়েছে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলি।
আরও পড়ুন- বড়লোক চিনকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করুক বিশ্বব্যাঙ্ক, বলছেন ট্রাম্প
আরও পড়ুন- শুল্ক কমাবে চিন, ট্রাম্পের হুঙ্কার জারি
গবেষকরা বলছেন, ‘‘এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে চিন সম্পর্কে আতঙ্ক দূর করতে আর আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে টক্কর দিতে যে ভাবেই হোক কূটনীতির মাধ্যমে সেই সব দেশের নাগরিকের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে চিন। গত ৬ বছর ধরে। এখনও চালাচ্ছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি।’’
গবেষণা এও জানিয়েছে, এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে গত ৬ বছরে সবচেয়ে বেশি সাহায্য পেয়েছে পাকিস্তান ও কাজাখস্তান। কয়েক লক্ষ কোটি ডলার ব্যয়ে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প গড়ে তোলার জন্য এই দু’টি দেশকেই চিনের প্রয়োজন হয়েছে বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy