ইতালি থেকে আনা সোনার পাতগুলি থেকে পার্চমেন্ট পাতার মতো পাতলা টুকরো তৈরি করা হয়।
সংবাদ সংস্থা
দুবাইশেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ১২:৪১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
৩০০ কোটির এই হোটেল এমিরেটস প্যালেস বিশ্বের অন্যতম বহুমূল্য হোটেল। ২০০৫ সালে এটি শুরু হয়।
০২১২
দুবাইয়ের এই হোটেল-প্রাসাদের আইকনিক সোনার সিলিংই মূল আকর্ষণ। কেরলের ইঞ্জিনিয়ার মনোজ কুরিয়াকোসে এই হোটেল-প্রাসাদের স্থপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
০৩১২
প্রায় ২২০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে হোটেলের সিলিং সোনা ও সোনার জলে রুপোর পাত দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে।
০৪১২
২২ ক্যারাটের সোনা ব্যবহার করা হয়েছে এতে।
০৫১২
সোনার পাতা, যেগুলি সিলিংয়ে আটকানো হয়েছে, সেগুলির স্থায়িত্ব চার থেকে পাঁচ বছর মাত্র। তাই এগুলিকে বারবার বদলাতে হয়।
০৬১২
এক বর্গ মিটার সিলিংয়ে থাকে ৫০টি সোনার পাতা। একেকটি স্বর্ণপত্রের মূল্য প্রায় ৭২০০ টাকা।
০৭১২
প্রতিদিন চার থেকে ছয় বর্গমিটার সোনার পাতা বদলাচ্ছে কুরিয়াকোসের টিম। প্রতি বছর প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকার সোনার পাতার নকশা বসে হোটেলের সিলিংয়ে। বসে রূপোর সিলিংও।
০৮১২
ইতালি থেকে আনা সোনার পাতগুলি থেকে পার্চমেন্ট পাতার মতো পাতলা টুকরো তৈরি করা হয়।
০৯১২
একটা লাল বেস কোটের উপরে এই পাতাগুলি বসানো হয়। বিশেষ আঠা ব্যবহার করা হয়। হাত দিয়েই পাতার আকার দেওয়া হয় পাতগুলিতে। খুব সন্তর্পণে সারতে হয় এই কাজ। তাই সাবধানে আঙুল ব্যবহার করতে হয়।
১০১২
কাজ শেষ হলে একটা সুরক্ষা বর্ম দেওয়া হয় সূক্ষ্ম পাতার উপরে। অতিথিরাও এই কাজ দেখে মুগ্ধ হন।
১১১২
হোটেলটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রায় এক কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। তাই এই সোনায় মোড়ার বিষয়টি চলতেই থাকে নিয়মিত।
১২১২
পৃথিবীর আর কোথাও এরকম সোনার পাতায় মোড়া হোটেল সিলিং পাবেন না, দাবি স্থপতির।