দুই হাতির কাহিনি। সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম
কয়েক সেকেন্ডের ভিডিয়ো। কিন্তু তাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, খাবার পড়ে থাকলেও তার কাছে পৌঁছতে না পারা অন্ধ হাতিটিকে কী ভাবে পথ দেখাচ্ছে তার বন্ধু।
এই কাহিনি তাইল্যান্ডের। লেক শালিয়ার্টের হস্তি উদ্যানের বাসিন্দা দুই হাতির কাহিনি। ছবিতে তিনজনকে দেখা গেলেও গল্পের মূল চরিত্র দুই হাতি চানা এবং পলি থং। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় এমন গল্প আর ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ওই উদ্যানের প্রতিষ্ঠাতা লেক শালিয়ার্ট। ভিডিয়োর সঙ্গে সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন পলি থং নামে দৃষ্টিহীন হাতিটির সঙ্গে।
হস্তিপ্রেমী শালিয়ার্ট জানিয়েছেন, পলি থং দু’টি চোখেই দেখতে পায় না। চোখে সমস্যা নিয়েই একটা সময়ে ‘এলিফ্যান্ট রাইডিং ক্যাম্প’-এ কাজ করত। তাকে উদ্ধারের সময় থেকেই দেখা যায় চোখ দু’টি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ওই উদ্যানেই থাকে চানা নামে একটি স্বাভাবিক হাতি।
বড় বড় কান থাকলেও হাতি শোনার ক্ষেত্রে শুঁড় এবং পায়ের উপরেও অনেকটা নির্ভর করে। মাটির কম্পন টের পেয়ে বুঝতে পারে অনেক কিছু। এমনকী মাটির তলার শব্দ ও কম্পনও টের পায়। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই দৃষ্টিহীন বন্ধুকে সাহায্য করছে চানা। পায়ে পায়ে পলি থং-কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে খাবারের কাছে। চানার পায়ের শব্দকে অনুসরণ করেই না দেখেও খাবারের নাগাল পেয়ে যাচ্ছে পলি থং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy