নাসরিনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে খুঁজে বার করেছে এই দুই সারমেয়। ছবি: পিটিআই।
ওদের জন্যই একটা নতুন জীবন পেল ৬ বছরের নাসরিন। ধ্বংসস্তূপের নীচে প্রাণের স্পন্দন উপলব্ধি করতেই তাদের প্রশিক্ষকদের ইঙ্গিত দিয়েছিল, ওই জায়গায় কেউ রয়েছে এবং সে জীবিত। আর এক মুহূর্ত দেরি করেননি ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) সদস্যরা। সেই ধ্বংসস্তূপ সরাতেই ফুটফুটে এক কন্যাকে দেখতে পেয়েছিলেন উদ্ধারকারীরা। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
ওরা রোমিও এবং জুলি। এনডিআরএফের ডগ স্কোয়াডের দুই সারমেয়। উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য ওদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। গত মঙ্গলবার এই দুই সারমেয়কে নিয়ে যাওয়া হয় তুরস্কের ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায়। দু’টি দলে ভাগ হয়ে কাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ। তার মধ্যে একটি দল যান হাটয়ে। ওই দলেই ছিল রোমিও এবং জুলি। এনডিআরএফের ডগ স্কোয়াডের এক আধিকারিক জানান, ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকে আছেন কি না, খোঁজ চালাচ্ছিলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল রোমিও এবং জুলি। হঠাৎই জুলি ধ্বংসস্তূপের এক জায়গায় থমকে দাঁড়িয়ে যায়। সেই প্রথম বুঝতে পেরে তার প্রশিক্ষককে সতর্ক করে। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য রোমিওকে নিয়ে আসা হয়। রোমিও বুঝতে পারে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষটি এখনও বেঁচে আছে। রোমিওর ইঙ্গিত পেয়েই দ্রুত কংক্রিটের চাঙড় সরানো হয়। তখনই দেখা যায় এক শিশুকন্যা ওই চাঙড়ের নীচে আটকে রয়েছে এবং জীবিত।
Unparalleled #compassion, transcending beyond #borders. #OperationDost pic.twitter.com/N9dvOYQZQF
— Dr Suneem Khan (@DrSuneem) February 9, 2023
নাসরিনকে উদ্ধার করে ভারতীয় সেনার অস্থায়ী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। নাসরিনের মাকেও উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু তার বাবা এবং দুই ভাই এখনও নিখোঁজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy