অকল্যান্ডে বাঙালিরা তিন দশক ধরে দুর্গাপুজো করছেন। ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ গোলার্ধে এখন বসন্ত। চারদিকে ফুলের সমারোহ, অনেক গাছে নতুন পাতা আসছে। সেই কারণে আশ্বিন মাসের এই পুজোকে ‘শারদীয়া’ না বলে ‘বাসন্তী’ বলা বেশি যথাযথ হবে কি না, সেই অনর্থক বিচারে না-ই বা গেলাম! অতিমারির ছায়া পেরিয়ে সাগরপারের বাঙালিরা তাঁদের একান্ত আনন্দের উৎসবে সকলে মিলে মেতে উঠেছেন, এটাই সব থেকে বড় কথা।
ছোট্ট দেশ নিউজ়িল্যান্ডের বৃহত্তম শহর অকল্যান্ডে বাঙালিরা তিন দশক ধরে দুর্গাপুজো করছেন। গত দু’বছর করোনার চোখরাঙানিকে সামাল দিতে ‘অনলাইন’ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। সাত সমুদ্র পারে সাদা মেঘের এই দেশে আমাদের সংগঠন ‘প্রবাসী’র পুজোর বিশেষ তাৎপর্য— এই পুজোয় পরবর্তী প্রজন্মের অংশগ্রহণ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে খাওয়াদাওয়া, মণ্ডপসজ্জা, চাঁদা তোলা— পুজোর আয়োজনের প্রতিটি পর্যায়ে বয়স্কদের কাছ থেকে খুঁটিনাটির তালিম নিয়ে কাজে নেমে পড়ে এই নতুন প্রজন্ম।
এ বছর ৩১ বছরে পা দিল ‘প্রবাসী’র পুজো। এই তিন দশকে বেশ কয়েক বার দেশ থেকে মা দুর্গার মূর্তি আনা হয়েছে। এ বছর আমরা পুজো করব ১ ও ২ অক্টোবর। প্রথম দিন হবে মহাষষ্ঠী ও মহাসপ্তমীর পুজো, আর তার পরের দিনমহাষ্টমী, মহানবমী ও দশমীর পুজো। সঙ্গে থাকছে ভোগ-প্রসাদ বিতরণ, খাওয়া-দাওয়া, প্রদর্শনী, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রবাসের শত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও একটা জিনিস আমাদের কোনও দিনই কমেনি। সেটা হল আমাদের বাঙালিয়ানা, উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আবেগ। এ বছরও সেই আবেগ-উদ্দীপনায় ভর করে শারদোৎসবে শামিল হলাম আমরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy