Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
COVID-19 Vaccine

দ্রুত প্রতিষেধক বণ্টনে চাই ড্রোন, মাইক্রো চিলার, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

সংক্রমণ ঠেকাতে গেলে প্রতিষেধক আসামাত্রই যত দ্রুত সম্ভব তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন বলে একমত বিশ্বের তাবড় বিশেষজ্ঞেরা।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ২১:০৩
Share: Save:

করোনার প্রতিষেধক তৈরির কাজ প্রায় শেষ। ছাড়পত্র মিললেই শুরু হবে টিকাকরণ। তার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছে একাধিক সংস্থা। কিন্তু প্রতিষেধক যদিও বা মেলে, সর্বত্র তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে তো? এই প্রশ্নই এখন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে গবেষকদের। এই মুহূর্তে যে সমস্ত সম্ভাব্য কোভিড প্রতিষেধকগুলির দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব, সেগুলির প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে রাখা প্রয়োজন। কিন্তু পৃথিবীর এমন অনেক দেশই রয়েছে, যেখানে দূর-দূরান্তে সঠিক প্রক্রিয়া মেনে প্রতিষেধক পাঠানোর ব্যবস্থা নেই। সেটাই এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গবেষকদের।

সংক্রমণ ঠেকাতে গেলে প্রতিষেধক আসামাত্রই যত দ্রুত সম্ভব তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন বলে একমত বিশ্বের তাবড় বিশেষজ্ঞেরা। সে ক্ষেত্রে প্রতিষেধক সরবরাহকারী কার্গো ড্রোন, চলমান কোল্ড স্টোরেজ এবং মাইক্রো চিলার্স (ছোট আকারের হিমযন্ত্র) ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া দেশগুলি সমস্ত নাগরিকের কাছে প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় এই উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থা করে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় অধিকাংশই।

কোন দেশের প্রতিষেধক বণ্টনের কী ক্ষমতা তা নিয়ে বুধবার একটি যৌথ রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন ইউনিভার্সিটি অব বার্মিহাম, হেরিয়ট-ওয়াট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের বিআরএসি ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষকরা। বাংলাদেশের মতো একাধিক দেশকে সামনে রেখে একটি ব্লুপ্রিন্টও তৈরি করেছেন তাঁরা। তাতে বলা হয়েছে, বৃহদাকারের অর্থনীতির দেশগুলি সবার আগে প্রতিষেধক হাতে পেলে ৩৩ শতাংশ মৃত্যু রোখা সম্ভব হবে। কিন্তু বিশ্বের সর্বত্র যদি সমান ভাবে প্রতিষেধক বণ্টন করা যায়, সে ক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে।

আরও পড়ুন: নজরদারিই সার, সুন্দরবনে নির্বিচারে চলছে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস​

তাই যে সমস্ত দেশে মানুষের মাথাপিছু আয় অত্যন্ত কম, সেখানে কী ভাবে নির্ধারিত তাপমাত্রায় প্রতিষেধক সংরক্ষণ করে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, আগে তা নিয়ে পরিকল্পপনা করা উচিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যাই প্রায় ৩০০ কোটি। ওই সমস্ত এলাকায় প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার মতো হিমযন্ত্রের জোগান নেই। আবার কোভিডের প্রকোপ সামাল দিতে গিয়ে গত এক বছর ধরে প্রায় ৮ কোটি শিশুর অন্যান্য টিকাকরণ বন্ধ রয়েছে। তা চালু হলে সরঞ্জামে আরও টান পড়বে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রযুক্তিগত সহায়তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন: সপ্তম পর্বের আনলকে নয়া করোনা নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের​

শুধু তাই নয়, কোভিডের টিকাকরণ চলাকালীন ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, পিপিই কিট এবং অন্যান্য সামগ্রী যা থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে, সেগুলি কী ভাবে নষ্ট করে দেওয়া যায়, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy