কর দুর্নীতির যে খতিয়ান প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে জড়িয়েছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা, প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতা এবং প্রথম সারির রাজনীতিবিদদের নাম। প্রতীকী ছবি।
আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মোটা টাকা কর ফাঁকি দিচ্ছেন স্বয়ং রাষ্ট্রনেতারাই। কম করে ১২টি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান এ দোষে দোষী বলে দাবি করেছে সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি রিপোর্ট। ‘প্যান্ডোরার নথিপত্র’ নামে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর ফাঁকি দিতে রাষ্ট্রপ্রধানরা বিদেশি অ্যাকাউন্টে ঘুরপথে অর্থ চালান করছেন। একই ভাবে বিদেশে বেনামে বহুমূল্য বাড়ি, সম্পদও কিনেছেন কর বাঁচিয়ে।
তদন্তমূলক সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইসিআইজে রবিবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। কর দুর্নীতির যে খতিয়ান প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে জড়িয়েছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা, প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতা এবং প্রথম সারির রাজনীতিবিদদের নাম। এঁদের মধ্যে রয়েছে জর্ডনের রাজা, চেক প্রজতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীর নামও। এ ছাড়া বর্তমান এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতা এবং রাজনীতিবিদ মিলিয়ে মোট ৩৫ জনের নাম রয়েছে তালিকায়।
এই গোপন তদন্তে যুক্ত ছিলেন বিশ্বের ৬০০ জন তদন্তমূলক সাংবাদিক। বিশ্বের মোট ১৪টি আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার থেকে এক কোটি ১৯ লক্ষ নথি প্রকাশ্যে আনেন এই তদন্তমূলক সাংবাদিকেরা।
‘প্যান্ডোরার নথিপত্র’ দেখিয়েছে কী ভাবে কর ফাঁকি দিয়ে জর্ডনের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা বিদেশি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মালিবু, ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন এবং লন্ডনে ১০ কোটি ডলারের সম্পত্তি কিনেছেন। বা চেক প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ বাবিস যিনি এই সপ্তাহেই ভোটে দাঁড়াতে চলেছেন, তিনি কেন তাঁর বিপুল বিদেশি সম্পত্তির হিসেব দেখাতে পারেননি।
এ ছাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রনেতাদের তালিকায় রয়েছেন আজারবাইজান, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠমহলের বেশ কয়েক জন নেতা এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও রয়েছেন প্যান্ডোরার তালিকায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম সরাসরি না করা হলেও মোনাকোর একটি সম্পত্তি সূত্রে তিনিও রয়েছেন প্যান্ডোরার দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রনেতাদের তালিকায়।
তদন্তমূলক সাংবাদিকদের সংগঠনটি জানিয়েছে, এই নথি হয়তো এই নেতাদের সরাসরি দোষী সাব্যস্ত করতে পারবে না। তবে এই প্রমাণ তাঁদের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে লজ্জাজনক হতে পারে। কেন না এই সব রাষ্ট্রনেতা কোনও না কোনও সময়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আর এখন এঁরা নিজেরাই দুর্নীতির দায়ে পড়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy