ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে কর নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানালেন, তিনি কর নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করতে চলেছেন। মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের দিনেই হোয়াইট হাউস থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হবে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় হবে ঘোষণা।
নিজের সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘তিনটি দারুণ সপ্তাহ কাটল। হয়তো এই তিন সপ্তাহ সর্বকালের সেরা। কিন্তু আজ বড় একটা দিন: পারস্পরিক শুল্ক আরোপ! আমেরিকাকে আবার মহান করে তুলতে হবে।’’
আরও পড়ুন:
পারস্পরিক শুল্ক আরোপের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। এই শুল্কের অর্থ হল, যে দেশ আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করবে, সেই দেশের পণ্যের উপরেও পাল্টা কর চাপাবে আমেরিকা। চলতি সপ্তাহের এই শুল্কের বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে জানিয়ে রেখেছিলেন ট্রাম্প। তা নিয়েই এ বার পোস্ট করলেন।
২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প। তার পর থেকে একাধিক দেশের উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন। প্রতিবেশী কানাডা এবং মেক্সিকোর উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই দুই দেশের অবৈধ অভিবাসী সংক্রান্ত সমস্যার পাল্টা হিসাবে এই কর আরোপ করেছিলেন তিনি। পরে কানাডা এবং মেক্সিকো জানায়, তারা অভিবাসী সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে। এর পর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে ওয়াশিংটন।
ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি অনুযায়ী, শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে কোনও দেশকে রেয়াত করা হবে না। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা যদি আমাদের থেকে টাকা নেয়, আমরাও ওদের থেকে টাকা নেব। পাল্টা দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।’’ কোন কোন দেশের উপর ট্রাম্প এই কর চাপাবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘‘কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’’ ভারতকেও ট্রাম্প প্রশাসনের কোপের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, এর আগে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য এবং করের পরিমাণ নিয়ে ট্রাম্প অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
চার দিনের বিদেশ সফরে গিয়েছেন মোদী। ফ্রান্সে দু’দিন কাটানোর পর আমেরিকা পৌঁছেছেন বৃহস্পতিবার (ভারতীয় সময়)। শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। শুল্ক এবং বাণিজ্য নীতি নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।