তখনও প্রেসিডেন্ট: হোয়াইট হাউস চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি ডোনাল্ড ও মেলানিয়া ট্রাম্প। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে। ছবি রয়টার্স।
এত দিনের হার না-মানা হারের পণ অবশেষে ভাঙল। কখনও প্রতিপক্ষের জয়ের পিছনে কারচুপি খুঁজেছেন, কখনও ষড়যন্ত্র দেখেছেন, মামলা করেছেন একাধিক, তাতে হেরেওছেন। তবু গদি ছাড়তে নারাজ ছিলেন তিনি। অবশেষে, প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর শেষ দিনে, প্রথম বার শোনা গেল ব্যতিক্রমী সুর। বিদায়বেলায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাফল্য কামনা শোনা গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে!
গত এক সপ্তাহে একটু বেশিই চুপ করে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। ক্যাপিটলের ঘটনার পরে এক বারের জন্যেও প্রকাশ্যে আসেননি। শোনা গিয়েছে, কাল একটি ভিডিয়ো-বার্তা রেকর্ড করেছেন। তবে সেটি প্রকাশ করা হবে পরে। সেই ভিডিয়ো-বার্তায় আমেরিকানদের কাছে বাইডেনের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করতে বলেছেন ট্রাম্প।
চমক ছিল আজ দিনের শুরু থেকেই। হোয়াইট হাউস থেকে বেরোনার সময়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি সম্মানিত। সারা জীবনের জন্য এই সম্মান। গোটা পৃথিবীর সেরা ঘর।’’ আর কিছু বলতে চাননি তিনি। ‘গুডবাই’ জানিয়ে বেরিয়ে যান। তবে বলেন, ‘‘শুধু গুডবাই বলছি। তবে আশা করি এই বিদায় দীর্ঘদিনের নয়। কোনও না কোনও ভাবে ফিরব।’’
হোয়াইট হাউসের অন্দরের খবর, শেষ রাতটা বিভিন্ন সইসাবুদ করে কাটিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। রাত দশটা অবধি মেয়ে ইভাঙ্কা বাবার পাশে ছিলেন। রাত দু’টো পর্যন্ত বেশ কিছু ফোনও সারেন। দোষী সাব্যস্তদের অনেকের ক্ষমাভিক্ষার আবেদনে সই করেন। মেয়ে সেই কাজে সাহায্য করেছেন ট্রাম্পকে। কাউকে জানিয়েছেন, তাঁর অম্লমধুর অনুভূতির কথা। আবার কাউকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পদের চাপ আর নিতে পারছিলেন না। এখন হালকা লাগছে।
হোয়াইট হাউসে ৮০ জন মতো কর্মী কাজ করেন। বিদায়ের আগে প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দেন ফার্স্ট লেডি। কখনও সখনও প্রেসিডেন্টও এই কাজ করেন। এটাই চেনা রীতি। এ বারে তেমনটা ঘটেনি। কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁদের যে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ নোটটি দেওয়া হয়েছে, সেটি মেলানিয়ার লেখা নয়। ট্রাম্প ইস্ট উইংয়ের কোনও কর্মীকে দিয়ে ওই কাজ করিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের কর্মীদের মধ্যে অনেকেই দশকের পর দশক ধরে কাজ করছেন। এমন ঘটনা মনে করতে পারছেন না তাঁরা।
আজ সকালে হোয়াইট হাউসের লনে এসে নামে মেরিন ওয়ান। হেলিকপ্টারে তাঁর সঙ্গে স্ত্রী, মেয়ে ও জামাই ওঠেন। গন্তব্য অ্যান্ড্রুস সামরিক ঘাঁটি। সেখানেই বিদায় সম্বর্ধনা
জানানো হয় ট্রাম্পকে। তবে সাম্প্রতিক কালে এই ‘বিদায়যাত্রারও’ নজির নেই। চেনা রীতি অনুযায়ী, নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণের পরে প্রাক্তন বিদায় নেন হোয়াইট হাউস থেকে। তখন তিনি মেরিন ওয়ান এবং এয়ার ফোর্স ওয়ানের বদলে (সেটি শুধু প্রেসিডেন্ট জন্য) অন্য বিমানে ওঠেন। সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারকে বলা হয় ‘এগ্জিকিউটিভ ওয়ান’। কিন্তু বাইডেনের জন্য অপেক্ষা না করে ট্রাম্প আজ আগেই বিদায় জানান হোয়াইট হাউসকে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে অ্যান্ড্রুস সেনা ঘাঁটির অনুষ্ঠানের পরে ওঠেন এয়ার ফোর্স ওয়ানে। গন্তব্য, পাম বিচের ‘প্রাসাদ’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy