আট দিনের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) গিয়ে সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে আটকে থাকতে হয়েছে ন’মাস। মহাকাশ থেকে তাঁদের নিয়ে ভারতীয় সময় বুধবার ভোরে পৃথিবীতে অবতরণ করে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স-এর ড্রাগনযান। আট দিনের সফরে গিয়ে ন’মাস আটকে ছিলেন এই দুই মহাকাশচারী। অতিরিক্ত সময় মহাকাশে আটকে থাকার জন্য তাঁদের কি অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেবে নাসা?
সম্প্রতি সাংবাদিকেরা এই প্রশ্নই করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এই প্রশ্ন শুনে ট্রাম্প জবাব দেন, ‘‘আমাকে এ বিষয়ে কেউই কিছু জানাননি। যদি ওঁদেরকে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিতেই হয়, তা হলে আমি আমার নিজের পকেট থেকে সেই পারিশ্রমিক দেব।’’ সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পর পরই হোয়াইট হাউসের তরফে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানানো হয়েছিল, ‘‘প্রেসিডেন্ট কথা দিয়েছিলেন সুনীতা উইলিয়ামসদের ফিরিয়ে আনবেন। সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছেন।’’ সুনীতাদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে নিজেকে ‘কৃতিত্ব’ দিতেও কার্পণ্য করেননি ট্রাম্প।
তবে সুনীতাদের এত দিন আটকে থাকার প্রসঙ্গে তাঁদের অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে কিনা, এ নিয়ে যখন চার দিকে নানা আলোচনা এবং প্রশ্ন ঘুরছে, তখন সেই বিষয়টি এ বার উঠে এল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে। খুব শান্ত ভাবেই তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুনীতাদের অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়ার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি ট্রাম্প আরও বলেন, ‘‘যদি আমাদের কাছে ইলনের মতো কোনও ব্যক্তি না থাকতেন, তা হলে মহাকাশচারীদের আরও অনেক দিন আটকে থাকতে হত। কে আনতে যেত ওঁদের? ৯-১০ মাস পর থেকে স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করত। এক বার ভাবুন, যদি আমাদের হাতে সেই সময়টুকুও না থাকত? ওঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য ইলন অনেক করেছেন।’’
তবে এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে যে মহাকাশচারীদের অতিরিক্ত (ওভারটাইম স্যালারি) পারিশ্রমিক দেয় না নাসা, তা দিন কয়েক আগেই জানান মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এক অবসরপ্রাপ্ত মহাকাশচারী কোডি কোলম্যান। তিনি জানান, নভশ্চরদের জন্য আলাদা করে কোনও বিশেষ ‘ওভারটাইম’ বেতন নেই। যে হেতু তাঁরা ফেডেরাল কর্মচারী, তাই মহাকাশে তাঁদের কাজকে পৃথিবীতে যে কোনও কাজের মতো করেই বিবেচনা করা হবে। ফলে সুনীতারা যেমন বেতন পান, তেমনই পাবেন। তবে, এত দিন ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) তাঁদের খাবার এবং জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অন্য সমস্ত ব্যবহার্য জিনিসের খরচ বহন করবে নাসা।