ন’মাসেরও বেশি সময় মহাকাশে আটকে থাকার পর বুধবার ভোরে পৃথিবীতে ফিরেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। তিনি ও তাঁর সঙ্গী নভশ্চর বুচ উইলমোর এবং আরও দুই মহাকাশচারী আপাতত নিভৃতবাসে রয়েছেন। সুনীতা এবং বুচ ৪৫ দিনের নিভৃতবাসে থাকবেন। দীর্ঘ দিন মাধ্যাকর্ষণবিহীন মহাকাশে থাকার পর তাঁরা পৃথিবীর জল-হাওয়ার সঙ্গে আর পাঁচটা মানুষের মতোই অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন কি না, সে দিকে নজর রাখবেন চিকিৎসকেরা। অন্য দিকে, সুনীতাদের মহাকাশ থেকে ফেরাতে কত টাকা খরচ হয়েছে, তা প্রকাশ্যে এসেছে।
মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থা স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন ৯ রকেট মহাকাশযান ড্রাগন ক্যাপসুলকে পৌঁছে দিয়েছিল নির্দিষ্ট কক্ষপথে। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ২০২৪ সালে কেবল এই রকেট উৎক্ষেপণের খরচ ছিল ৬৯ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৯৫ কোটি টাকা। তবে সুনীতারা যে যানে সওয়ার হয়ে পৃথিবীতে নেমেছেন, সেই ড্রাগন ক্যাপসুলের খরচ ধরলে মোট খরচের পরিমাণ হয় প্রায় ১৪০০ কোটি মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই বিপুল খরচ আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসারই বহন করার কথা। প্রসঙ্গত, আগামী অর্থবর্ষে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত দফতরের বার্ষিক বাজেট ১২,৪১৬ কোটি টাকা।
২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন সুনীতা এবং বুচ। গত বছরের জুন মাসে তাঁরা মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। যে যানে চড়ে তাঁরা গিয়েছিলেন, তাতে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে তাঁরা আটকে পড়েন মহাকাশেই। তার পর থেকে একাধিক বার সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বার বার প্রত্যাবর্তন পিছিয়ে যায়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর মাস্ককে এ বিষয়ে আলোকপাত করতে বলেছিলেন ট্রাম্প। অবিলম্বে সুনীতাদের ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই মহাকাশে ড্রাগন যান পাঠান মাস্ক।