(বাঁ দিকে) জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সরাসরি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্স (সাবেক টুইটার) কর্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের দাবি, যদি বাইডেন আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোয় ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আটকাতে পারতেন, তবে এই রক্তক্ষয়ী সংঘাত হত না। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তাঁর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথা হয়েছিল বলেও দাবি করেন ট্রাম্প। বলেন, “ইউক্রেন (যুদ্ধ) নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম। আমি তাঁকে বলেছিলাম এটা করবেন না।” পুতিন তাঁকে শ্রদ্ধা করেন বলেও সাক্ষাৎকারে দাবি ট্রাম্পের।
সাক্ষাৎকারে পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনেরও প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। দাবি করেছেন, এই তিন নেতাই দেশকে ভালবাসেন। আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘খেলায়’ ওই নেতারা এগিয়ে রয়েছেন বলেও দাবি দ্বিতীয় বারের জন্য হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে নামা ট্রাম্পের। তাঁর কথায়, “ওই নেতারা দেশকে ভালবাসেন। তবে তাঁদের ভালবাসার ধরন একটু আলাদা।” একই সঙ্গে ট্রাম্পের সংযোজন, “পুতিন, শি এবং কিম জং উনকে সামলাতে আমেরিকার এক জন শক্তিশালী প্রেসিডেন্টকে প্রয়োজন।”
বাইডেনের বয়স এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ‘দুর্বলতা’র দিকে ইঙ্গিত করে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্টকে ‘ঘুমন্ত’ বলে কটাক্ষ করেন ট্রাম্প। দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে শোচনীয় পরাজয়ের জেরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন বাইডেন।
সোমবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪০ মিনিট পরে ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হওয়া শুরু হয়। অতীতে ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থক মাস্ক আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রকাশ্যেই রিপাবলিকান ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছেন। ট্রাম্পের প্রচারে মোটা অঙ্কের টাকাও ঢেলেছেন এই ধনকুবের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy