মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।—ছবি এএফপি।
ভারত সফরে এসে বাণিজ্য-চুক্তি স্বাক্ষরে তিনি ইচ্ছুক বলেই ইঙ্গিত দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কাল হোয়াইট হাউসে এই চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘ওঁরা (ভারতীয়রা) কিছু করতে চান। দেখা যাক। যদি ঠিকঠাক চুক্তি করা যায়, করব।’’ প্রথম ভারত সফরের দিকে তিনি তাকিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। আর নরেন্দ্র মোদীকে বলেছেন, ‘দারুণ ভদ্রলোক’।
ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়ে ইতিমধ্যেই টুইট করেছেন মোদী। আর ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের ‘ইন্ডিয়ান ডেমোক্র্যাসি’ টুইটার পেজে আম নাগরিকের উদ্দেশে লেখা হয়েছে— ‘‘নিজের একটা ভিডিয়ো তুলুন। তাতে মাতৃভাষায় বলুন, ‘ভারতে স্বাগত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।’ কোন ভাষায় বলছেন, অবশ্যই লিখবেন। আর পোস্ট করবেন #ওয়েলকামপোটাস হ্যাশট্যাগে। আপনার ভিডিয়ো আমরা দেখাব।’’ সাড়া মন্দ পড়েনি। কাশ্মীরি, গঢ়ওয়ালি, কন্নড় ভাষায় নিজস্বী-ভিডিয়ো জমা হয়েছে পেজে। আছে গুজরাতি, হিন্দি, তামিল, ওড়িয়া, তেলুগুতে লেখা বার্তাও।
মোদীর টুইট অবশ্য ইংরেজিতে। ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াকে ট্যাগ প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘অত্যন্ত আনন্দের কথা, ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি আপনারা আসছেন।’’ গত সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় হওয়া ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানের ধাঁচেই আমদাবাদের নতুন সর্দার পটেল স্টেডিয়ামে ‘কেম ছো ট্রাম্প’-এর আয়োজন করেছে মোদী সরকার। দর্শক সংখ্যা এক লক্ষ ছোঁবে বলে মনে করা হচ্ছে। মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠের চেয়েও বড় এই স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ১ লক্ষ ১০ হাজার। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করবেন ট্রাম্প।
সম্ভবত ২৪ তারিখে আমদাবাদ বিমানবন্দরে নেমেই মোদীর সঙ্গে ১০ কিলোমিটার ‘রোড-শো’ করে ট্রাম্প যাবেন সাবরমতী আশ্রমে। শ্রদ্ধা জানাবেন গাঁধীকে। সাজানো হবে গোটা যাত্রাপথ। উচ্ছ্বসিত ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘উনি (মোদী) জানিয়েছেন, আমাদের জন্য লক্ষ লক্ষ লোক আসবেন!’’
এর পরেই সম্ভবত নিজের কোনও নির্বাচনী সভার প্রসঙ্গ টেনে হাল্কা মেজাজে তিনি বলেন, ‘‘গত রাতে প্রায় ৪০-৫০ হাজার লোকের মধ্যে ছিলাম। এখানে তো শুনছি বিমানবন্দর থেকে নতুন স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৫০ কি ৭০ লক্ষ মানুষ থাকবেন!’’
সিএএ-বিক্ষোভে বারবার গণতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। মোদীর মার্কিন সফরের সময়ে অভিযোগ উঠেছিল, বিজেপি সরকার সকলের উপরে হিন্দি চাপাতে চাইছে। সেই অভিযোগ খণ্ডন করতে আমেরিকার মঞ্চে উঠে নানা ভাষায় মোদী বলেছিলেন ‘সব খুব ভাল’। এ বারও খানিকটা সে ভাবেই ভাষা-বৈচিত্র্য তুলে ধরেছে বিদেশ মন্ত্রক। আর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দিল্লির ভোটের রায় বেরোনোর পরেই আজ মোদী টুইটারে লিখেছেন, ‘‘ভারত এবং আমেরিকা, দুই দেশই গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের বিষয়ে দায়বদ্ধ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy