মেক্সিকো সীমান্তে তৈরি প্রাচীরের গায়ে সই করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যালিফর্নিয়ার ওটে মেসায়। এএফপি
এ প্রাচীর টপকানো অসম্ভব! তৃপ্তির সুরে সাংবাদিকদের বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার মেক্সিকো সীমান্তে আমেরিকার তৈরি প্রাচীরের একাংশ তিনি ঘুরে দেখিয়েছেন। তার পর প্রাচীরে নিজে সইও করেছেন। পুনর্নির্বাচনের জন্য অর্থ সংগ্রহে ক্যালিফর্নিয়া যান ট্রাম্প। সেখানে বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরোনো রুখতে নিজের অবস্থান ফের স্পষ্ট করেন প্রেসিডেন্ট।
তিন দিনের সফরে নিউ মেক্সিকোয় মিছিলে যোগ দেওয়ার কথা ট্রাম্পের। এই সূত্রে লস অ্যাঞ্জেলেস এবং সান ফ্রান্সিসকোয় গৃহহীনদের সমস্যার সমালোচনাও করেন তিনি। দু’টি শহরই ডেমোক্র্যাটদের শক্ত ঘাঁটি। সান ফ্রান্সিসকোয় ওটে মেসা নামে একটি কমিউনিটিতে গিয়ে প্রাচীর নির্মাণের সেই অংশ দেখে যান ট্রাম্প। আগেকার বেড়ার সীমান্ত সরিয়ে ৩০ ফুট উঁচু ইস্পাত ও কংক্রিটের প্রাচীর তৈরি হচ্ছে। ট্রাম্প বলেন, এই প্রাচীর মাটির অনেকটা গভীরে যাচ্ছে। মাটি খুঁড়ে কেউ সুড়ঙ্গ তৈরি করতে পারবে না। প্রাচীরের একেবারে উপরে তাপশোষক পদার্থ রয়েছে, যাতে কেউ উঠতেই না পারেন। প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, ‘‘ওই প্রাচীরে ডিম ভেজে নিতে পারবেন। এ প্রাচীর টপকানো যাবে না!’’ তাঁর আশা, আটশো কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন এই প্রাচীর আগামী বছরের শেষ দিকে তৈরি হয়ে যাবে।
ট্রাম্প বলেছেন, শরণার্থী প্রসঙ্গে মেক্সিকো ‘দারুণ’ কাজ করছে। তাঁর বক্তব্য, ভিড় নিয়ন্ত্রণে তার সীমান্তে মেক্সিকো প্রশাসন হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। তবে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, মেক্সিকো এই সহযোগিতার পথ থেকে সরে গেলে তাদের উপরে আমদানি শুল্ক চাপানো হবে। ট্রাম্পের দাবি, ৫ শতাংশ শুল্কে প্রাচীরের জন্য ছ’মাসের অর্থ জোগাড় হয়ে যাবে।
বস্তুত আগামী বছরের ভোটের আগে প্রচারে ট্রাম্প বোঝাতে চান, সীমান্তে প্রাচীর তৈরির যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়ে এসেছেন, তা নিয়ে তিনি যথেষ্ট তৎপর। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মতো ঘনঘন ক্যালিফর্নিয়ায় আসার অভ্যাস নেই ট্রাম্পের। কারণ ডেমোক্র্যাট প্রভাবিত এই প্রদেশে ২০১৬ সালে ট্রাম্প হেরেছিলেন ৪০ লক্ষ ভোটে। এ বার সেখানে গিয়ে গৃহহীনদের সমস্যার কথা তুলে ট্রাম্প বলেন, ‘‘লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো এবং আরও বহু শহরকে শেষ হয়ে যেতে দিতে পারি না, কারণ এখানে যা ঘটছে, তা ওরাই ঘটতে দিচ্ছে।’’ ডেমোক্র্যাটদের বিঁধে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘ডেমোক্র্যাট উদারপন্থী রাজনীতিকরা যদি এর সমাধান না করেন, সরকারকেই দেখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy