ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি—রয়টার্স।
ইতিহাসে প্রথম বার। আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে দু’বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার বিকালে (আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী) হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা ছাড়াও কিছু রিপাবলিকান সদস্যও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দেন। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের জেরেই ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। দ্বিতীয় বার ইমপিচ হওয়ার পর ট্রাম্প আমেরিকানদের উদ্দেশে ‘ঐক্যবদ্ধ’ থাকার এবং হিংসায় না জড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট প্রসঙ্গে ডেমোক্র্যাট সেনেটর চাক স্কুমার বলেছেন, “ট্রাম্পই প্রথম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যাঁকে দু’বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হতে হল। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের মতো সেনেটকেও বিষয়টি কার্যকর করতে হবে।’’ ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের জন্য ভোটাভুটির বিষয়টি স্পষ্ট হতেই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল রিপাবলিকানরা কী করেন তা নিয়ে। সকলের আগ্রহ ছিল ক’জন রিপাবলিকান ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দেন। ভোট শেষে জানা গিয়েছে, মোট ১০ জন রিপাবলিকান ট্রাম্পের অপসারণ চেয়ে ভোট দিয়েছেন। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে ইমপিচমেন্ট নিয়ে ভোটের ফল ২৩২-১৯৭। এ বার বিষয়টি উঠবে সেনেটে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আর দাঁড়াতে পারবেন না ট্রাম্প।
আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। সে দিনই খুলবে সেনেট। গত ১৩ মাসে দ্বিতীয় বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি ট্রাম্প। ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ‘‘আজ হাউস দেখাল প্রেসিডেন্টও আইনের ঊর্ধ্বে নন।”
আরও পড়ুন: চিনের বিরুদ্ধে ভারতকে ‘অস্ত্র’ করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প, দাবি নথিতে
নভেম্বরে নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হারের পর থেকেই ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন ট্রাম্প। কখনও বলেছেন ভোটের ফল মানি না। কখনও বলেছেন, তাঁকে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছে। এক জনসভাতে নিজেদের ‘শক্তি’ প্রদর্শনের কথা জনতার সামনে বলার পরই ঘটে ক্যাপিটল হামলার মতো নিন্দনীয় ঘটনা। তার পরও চুপই ছিলেন ট্রাম্প। ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর তিনি বলেছেন, “হিংসার কোনও যুক্তি হয় না। আমেরিকায় আইনের শাসন চলে। গত সপ্তাহে যাঁরা হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁদের বিচার হবে।’’ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম বারের জন্য ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাম্প। তখন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টার পাশাপাশি তদন্ত প্রক্রিয়ার বাধা দিয়ে ইমপিচমেন্টের মুখে পড়েছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।
— The White House (@WhiteHouse) January 13, 2021
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy