ইয়াজ়িদি তরুণী নাদিয়া মুরাদ।—ছবি সংগৃহীত।
ইয়াজ়িদি মহিলাদের অধিকার রক্ষা নিয়ে লড়ছেন তিনি। তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে গত বছর যুগ্ম ভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারও পেয়েছেন। কিন্তু ইয়াজ়িদি তরুণী নাদিয়া মুরাদ ঠিক কী কারণে নোবেল পেয়েছেন, তা এত দিন জানতেন না খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কে আর কেন নোবেল পুরস্কারের মতো স্বীকৃতি তাঁকে দেওয়া হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নাদিয়া নিজেই বুঝিয়ে বলেছেন।
খুব সম্প্রতি ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন নাদিয়া-সহ আরও কয়েক জন। এঁরা প্রত্যেকেই ধর্মের নামে কোনও না কোনও ভাবে প্রবল অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছেন এক সময়ে। প্রাথমিক আলাপ পর্ব সারার পরে ট্রাম্প সরাসরি নাদিয়াকে জিজ্ঞেস করে বসেন, ‘‘আপনিই তো নোবেল পেয়েছিলেন? অবিশ্বাস্য ব্যাপার। কিসের জন্য ওরা আপনাকে এই পুরস্কারটা দিল?’’ প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে এমন প্রশ্ন শুনে প্রথমটা হকচকিয়ে যান নাদিয়া। খানিক ক্ষণ চুপ থেকে নিজের সংগ্রামের কাহিনি খুলে বলেন প্রেসিডেন্টকে। জানান, কী ভাবে আইএস জঙ্গিদের হাতে অজস্র বার ধর্ষিতা হয়েছেন তিনি। কী ভাবে, তাঁর মা আর চার ভাইকে খুন করেছিল আইএস জঙ্গিরা। কী ভাবে জঙ্গিদের হাত থেকে পালিয়ে নতুন করে বাঁচার রাস্তা খুঁজে বার করেছিলেন নাদিয়া। সব কথাই ট্রাম্পকে বলেন তিনি। সেই সঙ্গেই প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেন, বছরের পর বছর ধরে অত্যাচারিত ইয়াজ়িদি মহিলাদের একটু ভাল রাখার জন্য ট্রাম্প যদি কিছু করেন। নাদিয়ার কথায়, ‘‘দয়া করে কিছু করুন। এটা শুধু একটা পরিবারের বিষয় নয়।’’
এর পরেই আরও এক বার বেফাঁস প্রশ্ন করে বসেন ট্রাম্প। আইএস অত্যাচারে পালিয়ে যাওয়া ইয়াজ়িদি পরিবারগুলো যাতে সুরক্ষিত ভাবে ফিরতে পারে, তার জন্য ইরাক আর কুর্দিশ সরকারকে ট্রাম্প যাতে অনুরোধ করেন, সে কথাও বলেছিলেন নাদিয়া। আর নাদিয়ার সেই আর্জি শুনেই ট্রাম্প বলেন, ‘‘কিন্তু ওখান থেকে আইএস নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। এখন কি ওখানে কুর্দিশরা ঝামেলা করছে? আর যেন কারা?’’ আরও এক বার থতমত খান নাদিয়া। ইরাকে কুর্দ জনজাতিদের একটি স্বশাসিত প্রদেশ রয়েছে। সেখানকার সরকারের কথাই বলতে চেয়েছিলেন নাদিয়া। কিন্তু ট্রাম্প সম্ভবত কুর্দদের জঙ্গিদের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। পরে অবশ্য প্রেসিডেন্ট নাদিয়ার কাছে দাবি করেন, ‘‘ওই সব এলাকা আমি খুব ভালই চিনি।’’
গত পরশুই রোহিঙ্গাদের উপরে অত্যাচারের জন্য মায়ানমারের বেশ কয়েক জন সেনা কর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু ওই একই অনুষ্ঠানে এক রোহিঙ্গা প্রতিনিধির সঙ্গে ট্রাম্পের আলাপের সময়েই বোঝা যায় যে, এই সম্প্রদায় সম্পর্কেও প্রেসিডেন্ট কিছুই জানেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy