বৈঠকে এর্ডোগান এই ভূমিকম্পকে ‘বিগত এক শতকের মধ্যে ভয়াবহ বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। ছবি: রয়টার্স।
তুরস্ক এবং সিরিয়ার ভূমিকম্পের পর সপ্তাহখানেক কেটে গিয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসাবশেষের তলায় এখনও অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। বিগত ১০০ বছরে এমন ভূমিকম্প দেখেননি তুরস্কবাসী, এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্ডোগান। তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান দফতরে টানা ৫ ঘণ্টা ধরে ক্যাবিনেট বৈঠক চলেছিল। বৈঠকে এর্ডোগান এই ভূমিকম্পকে ‘বিগত এক শতকের মধ্যে ভয়াবহ বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করেছেন।
১৯৩৯ সালে তুরস্ক এমন ভয়াবহ ভাবে কেঁপে উঠেছিল। এর ফলে ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এ বার ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এর্ডোগান জানান, ভূমিকম্পের ফলে তুরস্কে ৪৭ হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। প্রায় ২ লক্ষ ১১ হাজার বাসিন্দা থাকতেন ওই সব আবাসনে।
সিরিয়ায় এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার ৭০০ জন মারা গিয়েছেন। ভূমিকম্পের ফলে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৫০৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। হাসপাতালে প্রায় ১৩ হাজার জন ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এর্ডোগান।ক্যাবিনেট বৈঠকে এর্ডোগান বলেছেন, ‘‘ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে থাকা শেষ মানুষটিকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া হবে উদ্ধারকাজ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy