কোভিড রোগীদের পরিষেবা দিতে নাজেহার চিকিৎসকরা। ছবি—এএফপি।
কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গে কাঁপছে আমেরিকা। প্রতি দিনই বাড়ছে সংক্রমণ। এমন জায়গায় যাচ্ছে পরিস্থিতি, যাতে প্রশাসনের চিন্তা ক্রমেই বাড়ছে। রবিবার সে দেশে মোট সংক্রমণ ১ কোটি পার করল। রবিবার পর্যন্ত আমেরিকায় মোট সংক্রমণ ১,১০,৩৫,৯২২। কী হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তা একটা ছোট্ট তথ্য দিলেই বোঝা যাবে। ১৪ জুলাই নতুন সংক্রমণ ছিল ৬৫,৯৯১। ১৪ সেপ্টেম্বর তা কমে দাঁড়ায় ৩৩,৮৪৫। ঠিক দু’মাসের মাথায়, অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর তা বেড়ে হয়েছে ১,৬৮,৩৭৩। রবিবার, অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর নতুন সংক্রমণ কিছুটা কমলেও, তা রয়েছে ১ লক্ষের উপরেই (১,৩৯,০৫২)। গত ১১ দিন ধরে টানা দৈনিক নতুন সংক্রমণ ১ লক্ষের উপরে। সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুহারও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় সর্বাধিক কোভিড পজিটিভ রোগী। মোট সংক্রমণের ১৯ শতাংশই এই দুই প্রদেশে।
ঘটনা হল, যে ভাবে করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ ফিরে এসেছে আমেরিকায়, যে ভাবে প্রতি দিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ এবং মৃত্যু, তা ফের আমেরিকার অর্থনীতিতে কালো ছায়া ফেলেছে। মনে করা হচ্ছে পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে সেখানকার বেশ কিছু প্রদেশে আবার কঠোর নিয়মকানুন জারি হতে পারে। যা পক্ষান্তরে আঘাত হানতে পারে আমেরিকার আর্থিক বৃদ্ধিতে। অর্থনীতিবিদদের একাংশের ধারণা, এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বেশ কয়েক বছর লাগতে পারে। এক দিকে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, অন্য দিকে অর্থনীতি যাতে আরও তলানিতে না ঠেকে যায়, এই দ্বিমুখী চাপ সামলাতে এখন নাজেহাল সে দেশের প্রশাসন।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেব বলছে, গত কয়েক দিনের থেকে শনিবার ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা-সংক্রমণ, রবিবার তা ১৯ শতাংশের কাছাকাছি। তার সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহার। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক দিনে সে দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জনের। দেশে মোট মৃত্যু ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেব বলছে, গত কয়েক দিনের থেকে শনিবার ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা-সংক্রমণ, রবিবার তা ১৯ শতাংশের কাছাকাছি। তার সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহার। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক দিনে সে দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জনের। দেশে মোট মৃত্যু ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
বস্তুত, গ্রেট ডিপ্রেশনের পর বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির উপর দিয়ে এই করোনাকালে যে ঝড় বয়ে গিয়েছে গত গ্রীষ্ম থেকে, তা থেকে সম্প্রতি একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল অর্থনীতি। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতির ফলে ফের সেই গ্রাফ নিম্নমুখী। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, এর প্রভাব পড়বে সমাজের সর্বত্র। বিশ্বের অন্যতম বড় অ্যাকাউন্টিং ফার্ম গ্রান্ট থর্টনের অর্থনীতিবিদ ডায়ানা সোঙ্ক বলছেন, ‘‘আমেরিকার অর্থনীতির ভবিষ্যৎ এখনও নির্ধারণ করবে কোভিড। বর্তমানে আবার যে ভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে চিন্তা বাড়ছে। করোনার এই দ্বিতীয় তরঙ্গ দেশের অর্থনীতিতে খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে।’’
প্রসঙ্গত, আমেরিকায় এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বেশ জটিল। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরেও হার স্বীকার করতে চাইছেন না। ক্রমাগত ভোট চুরি, রিগিংয়ের অভিযোগ করে তাতাচ্ছেন নিজের সমর্থকদের। শনিবারই ওয়াশিংটন-সহ দেশের বিভিন্ন প্রদেশে ট্রাম্পের সমর্থনে বড় মিছিল দেখা গিয়েছে। এর ফলে ফের নতুন করে করোনা-সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা এড়ানো যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বাইডেনকে জয়ী স্বীকার করেও ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: আমেরিকায় দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ১,৬৮,৩৭৩, ফের অর্থনীতি নিম্নমুখী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy