মৃত্যু আর দুর্ঘটনা যেন ছায়ার মতো লেগে এই ‘অভিশপ্ত’ জিনিসগুলোর সঙ্গে
রহস্য। অভিশাপ। মৃত্যু। বিশ্বের বহু জিনিসের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে ‘অভিশপ্ত’ তকমা। এর কয়েকটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাধিক মৃত্যু। কোনওটি আবার এতই নাকি অভিশপ্ত যে, তার খোঁজই পাওয়া যায় না। এমনই কয়েকটি জিনিস দেখে নেওয়া যাক।
শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:০৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
রহস্য। অভিশাপ। মৃত্যু। বিশ্বের বহু জিনিসের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে ‘অভিশপ্ত’ তকমা। এর কয়েকটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাধিক মৃত্যু। কোনওটি আবার এতই নাকি অভিশপ্ত যে, বর্তমানে সেটি কোথায়, তা জানাই যায় না। এমনই কয়েকটি জিনিস দেখে নেওয়া যাক।
০২১২
দ্য আইসম্যান: ১৯৯১-এ ইতালির ওত্জ়াল আল্পসে ওত্জ়ি ওরফে আইসম্যানের মমি উদ্ধার হয়। মনে করা হয়, ৩ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে আইসম্যানের মৃত্যু হয়েছিল। কথিত, যাঁরা এই উদ্ধারকাজে জড়িত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়।
০৩১২
ফরেন্সিক প্যাথোলজিস্ট রেনার হেন গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। পর্বতারোহী কার্ট ফ্রিজের তুষারধসে মৃত্যু হয়। পড়ে মৃত্যু হয় হেলমুট সাইমনের। প্রচলিত বিশ্বাস, মানুষ মারার ক্ষমতা রয়েছে এই আইসম্যানের।
০৪১২
বাসানো ভাস: ১৫ শতকে ইতালির এক মহিলা নিজের হাতে বানানো ফুলদানি বিয়ের রাতে স্বামীকে উপহার দিয়েছিলেন। সেই রাতেই খুন হন ওই মহিলা। হাতে তার সেই ফুলদানিটি ছিল।
০৫১২
স্থানীয়দের দাবি, এর পর সেই ফুলদানিটি যে যে পরিবারের কাছে গিয়েছে কারও না কারও মৃত্যু হয়েছে। ফুলদানিটি ‘অভিশপ্ত’ বলে পরবর্তীকালে কেউ নিতে চায়নি। এখন এই ফুলদানি কোথায় রয়েছে কেউ জানে না। তবে মনে করা হয়, এটি কোনও এক অজ্ঞাত জায়গায় মাটির নীচে পুঁতে রাখা হয়েছে।
০৬১২
টমাস বাসবি চেয়ার: এটা ‘বাসবি’স স্টুপ চেয়ার’ বা ‘ডেড ম্যান’স চেয়ার’ নামেই বেশি পরিচিত। টমাস বাসবি কুখ্যাত দুষ্কৃতী ছিল। ১৭০২ সালে তাকে নর্থ ইয়র্কশায়ারে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার আর্জি ছিল ফাঁসির আগে যেন তাকে তার প্রিয় হোটেলে খাওয়ানো হয়।
০৭১২
খাবার শেষে বাসবি উঠে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এই চেয়ারে যে বসবে তারই মৃত্যু হবে। ওই চেয়ারে যাঁরা বসার সাহস দেখিয়েছিলেন, প্রত্যেকেরই নাকি রহস্যজনক মৃত্যু হয়। হোটেল মালিক চেয়ারটা পরে ব্রিটেনের থার্সক মিউজিয়ামে দিয়ে দেন। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে চেয়ারটিকে মাটি থেকে ৫ ফুট উঁচুতে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
০৮১২
‘দ্য ক্রায়িং বয়’ পেন্টিং: এই ছবিটি এঁকেছিলেন ইতালির চিত্রশিল্পী জিওভানি ব্র্যাগোলিন। ছবিটির জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। ছবিটিও এত জনপ্রিয় হয়েছিল যে এই ছবির প্রতিকৃতি ব্রিটেনের বহু ঘরে শোভা পেত।
০৯১২
কিন্তু যাঁরাই নাকি আসল ছবিটি রেখেছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে আগুন লেগে গিয়েছিল। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের যে বিষয়টি তা হল, বাড়িগুলোতে আগুন লাগলেও ছবিটি কিন্তু প্রত্যেক ক্ষেত্রে অক্ষতই থেকে গিয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
১০১২
বুলগেরিয়ান ফোন নম্বর: +৩৫৯ ৮৮৮ ৮৮৮ ৮৮৮। দশ বছর ধরে বুলগেরিয়াতে এই নম্বরটি ব্যবহারের পর ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হয়। প্রচলিত বিশ্বাস, এই নম্বরটি যে তিন জন নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে এক জন ক্যানসারে, আর বাকি দু’জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
১১১২
পিস অব উলুরু রক: অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ অংশে বিশাল আকারের বেলেপাথরের টিলা এটি। আয়ার্স রক নামেও পরিচিত এটি। স্থানীয় উপজাতিদের কাছে এই অঞ্চলটি খুব পবিত্র। পর্যটকদের এখান থেকে কোনও কিছু নিয়ে যেতে নিষেধ করা হয়।
১২১২
কিন্তু অনেক পর্যটকই পাথরের টুকরো লুকিয়ে নিয়ে যান। বলা হয়, যাঁরা এই অঞ্চল থেকে কিছু নিয়ে গিয়েছেন, তাঁদেরই জীবনে দুর্দশা নেমে এসেছে। এমনকি মৃত্যুও হয়েছে।