—ফাইল চিত্র।
করোনা প্রতিষেধকের জন্য আগামী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা না-ও করতে হতে পারে আমেরিকাকে। বরং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই ফাইজার ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি সম্ভাব্য টিকার বন্টন শুরু হয়ে যেতে পারে। জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের প্রতিষেধক সংক্রান্ত সরঞ্জামের দায়িত্বে থাকা গুস্তাভ পার্না। তিনি জানিয়েছেন, সব প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ছাড়পত্র দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গন্তব্যে টিকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে।
আমেরিকার প্রত্যেক প্রদেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী কত ডোজ লাগবে, সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তা-ও ঠিক হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্না। তবে টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের জন্য শুরুতে টিকার ৬৪ লক্ষ (৬.৪ মিলিয়ন) ডোজ হাতে আসবে। তাতে স্বাস্থ্যকর্মীর একটা বড় অংশের টিকাকরণ সম্ভব হবে বলে আশাবাদী আমেরিকার সরকার। তার পর ধাপে ধাপে সাধারণ নাগরিকদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই মতো বাড়ানো হবে উৎপাদন।
জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে করোনার সম্ভাব্য টিকা তৈরি করছে ফাইজার। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় তাদের তৈরি টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। পরীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের উপর টিকার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেও দাবি করা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে ফাইজারের তৈরি টিকা প্রয়োগ করা যায় কি না, আগামী ১০ ডিসেম্বর তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকা স্পুটনিক ভি ৯৫ শতাংশ কার্যকর, দাবি রাশিয়ার
আরও পড়ুন: বড় শহর থেকে সংক্রমণ এ বার গ্রামেও, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে আমেরিকায়
এই মুহূ্র্তে ফাইজার এবং মডার্নার তৈরি টিকার ৪ কোটি ডোজ হাতে পাওয়াই মূল লক্ষ্য সে দেশের সরকারের, যাতে বছর শেষের আগে দেশের ২ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীর টিকাকরণ সম্পূর্ণ করে ফেলা যায়। সাধারণ মানুষের টিকাকরণ শুরু হতে আগামী বছর এপ্রিল হয়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy