প্রতীকী ছবি।
ঘরোয়া চাহিদা মেটানোর বিষয়টিকে আগ্রাধিকার দিতে গিয়ে কোভিড-১৯ টিকার কাঁচামাল এবং সরঞ্জাম রফতানির ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে আমেরিকা। জো বাইডেন সরকারের এই পদক্ষেপের জেরে ভারতের মত বেশ কিছু দেশে টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি সমস্যায় পড়তে চলেছে। ভারত থেকে টিকা পাওয়া তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশও এর ফলে বিপাকে পড়তে পারে। প্রকাশিত খবরে দাবি, ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তে আগামী দিনে বিশ্বজুড়ে টিকা প্রাপ্তির বৈষম্য আরও বাড়বে।
গত মাসে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছিলেন, আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে সে দেশের প্রত্যেক বাসিন্দাকে টিকা দেওয়ার কাজ পূর্ণোদ্যমে চলছে। তাই সাময়িক ভাবে আমেরিকায় উৎপাদিত কোভিড টিকার পাশাপাশি, টিকা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও সরঞ্জাম রফতানিতে কিছু নিয়ন্ত্রণ বলবতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তী পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘টিকার কাঁচামাল বা সরঞ্জাম রফতানিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হয়নি। শুধুমাত্র উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে ঘরোয়া চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে।’’
ভারতে তৈরি করোনা টিকা কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন তৈরির নানা রাসায়নিক উপাদান এবং সরঞ্জাম আমেরিকা থেকে আমদানি করা হয়। অভ্যন্তরীণ প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে টিকা রফতানিও করে ভারত। কিন্তু বাইডেন সরকারের সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপে টিকা উৎপাদনের গতি বজায় রাখা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যদিও গত বুধবার ভারতের দাবি মেনে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-র কাছে করোনা টিকাকে সাময়িক ভাবে ‘মেধাসত্ত্বের অধিকার’ (পেটেন্ট) তালিকার বাইরে রাখার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন বাইডেন। এই ব্যবস্থা কার্যকরী হলে, টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে আইনি জট অনেকটাই কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy