মাহামারিমুক্ত ঘোষণা হল স্লোভেনিয়া। ছবি: এএফপি
জনসংখ্যা মেরেকেটে ২০ লক্ষ। তার মধ্যেও প্রতি দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। তবু করোনা-মহামারি থেকে দেশ মুক্ত বলে ঘোষণা করল স্লোভেনিয়ার সরকার। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ‘মহামারিমুক্ত’ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে সে দেশে। খুলে দেওয়া হয়েছে ইটালির সীমান্তও। তবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ জারি রাখা হয়েছে।
সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারির পাশাপাশি স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানেজ জানসা বলেছেন, ‘‘মহামারি পরিস্থিতিতে এখন ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে স্লোভেনিয়া। সেই কারণেই মহামারির ইতি ঘোষণা করা হচ্ছে দেশে।’’
পাহাড়-পর্বতে ঘেরা ছোট্ট দেশ স্লোভেনিয়ার জনসংখ্যা ২০ লক্ষের মতো। ইটালির সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। সেই ইটালি, ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে যে দেশে। স্লোভেনিয়া মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজারের মতো। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। স্বাভাবিক ভাবেই এমন পরিস্থিতিতে দেশকে ‘মহামারিমুক্ত’ ঘোষণা করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। যদিও স্লোভেনিয়া সরকারের দাবি, সংক্রমণ বৃদ্ধির হার অনেক কমে এসেছে বলেই মহামারিমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষি পরিকাঠামো-বিপণনে ১ লক্ষ কোটি, নির্মলার প্যাকেজে মৎস্যচাষ-পশুপালনও
ওই বিজ্ঞপ্তিতে ইটালি-সহ সমস্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্যই স্লোভেনিয়ার সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়া অন্য কোনও দেশ থেকে এলে কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। তবে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়-সহ সব রকম জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে শপিং মল, রেস্তরাঁ খুলে দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল প্রশাসন। পাশাপাশি ২৩ মে থেকে ফুটবল-সহ যাবতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চালু করার কথাও বলা হয়েছিল। সেগুলো চালু হলে নতুন করে অনেকেই আক্রান্ত হতে পারেন বলেই আশঙ্কা অনেকের।
আরও পড়ুন: কেউ রাস্তায় হাঁটলে আদালত থামাবে কী করে? পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে মামলায় বলল শীর্ষ আদালত
তবে স্লোভেনিয়া বাদ দিলে বাকি বিশ্বে করোনা নিয়ে এখনও যথেষ্টই উদ্বেগের কারণ রয়েছে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেবে সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৭০। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ২ হাজার ৪৯৩ জনের। করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। মার্কিন মুলুকে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৮৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৫ হাজার ৯০৬ জনের। যা সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি। আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া (২ লক্ষ ৫২ হাজার ২৪৫)। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে ব্রিটেন (২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৪১), স্পেন (২ লক্ষ ২৯ হাজার ৫৪০), ইটালি (২ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৬), ব্রাজিলের (২ লক্ষ তিন হাজার ১৬৫) মতো দেশ। মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে ব্রিটেন। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৬৯৩ জনের। ইটালিতে ৩১ হাজার ৩৬৮ জন, স্পেনে ২৭ হাজার ৪২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy