করোনার টিকা আসছে নভেম্বরেই? -ফাইল ছবি।
নভেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে করোনার অন্তত দু’টি টিকা বাজারে আসার ইঙ্গিত মিলল। তার মধ্যে একটি ভারতে। অন্যটি আমেরিকায়।
সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের সবুজ সঙ্কেত পেলে আগামী মার্চেই দেশে করোনা টিকা এসে যাবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা বানাচ্ছে সিরাম। এ ছাড়াও রাশিয়ার বানানো টিকা ‘স্পুটনিক ৫’-এর যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ভারতে স্থগিত রাখা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল সেই ট্রায়াল ফের শুরুর অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
ও দিকে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমোদন মিললে জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বানানো তাদের করোনা টিকা এ বছরের নভেম্বরেই বাজারে এসে যেতে পারে। তার জন্য জরুরি অনুমোদন পাওয়ার প্রক্রিয়া তারা শুরু করতে চলেছে।
এই মুহূর্তে বিশ্বে মোট ১৫০টি করোনা টিকা বানানো হচ্ছে। তার মধ্যে অন্তত ১০টি টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সবচেয়ে তাড়াতাড়ি যেগুলির বাজারে আসার সম্ভাবনা, তাদের অন্যতম ফাইজার, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্না এবং চিনা সংস্থা সাইনোভ্যাক-এর বানানো করোনা টিকা।
ফাইজার-এর তরফে এও জানানো হয়েছে যে, তাঁদের বানানো টিকা কতটা নিরাপদ এখনও তার ফলাফল জানার অপেক্ষায় রয়েছেন গবেষকরা। সেই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয় ৪৪ হাজার মানুষের উপর। ফাইজার-এর চিফ এগজিকিউটিভ অ্যালবার্ট বৌরলা শুক্রবার বলেছেন, ‘‘একটা কথা স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, আমরা যে ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছি, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে তা যদি সদর্থক হয়, তা হলে তার জরুরি ব্যবহারের আবেদন জানানো হবে সঙ্গে সঙ্গেই।’’ নভেম্বরেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগেই জানিয়েছেন, আগামী মাসেই করোনা টিকা এসে যাবে আমেরিকায়।
আরও পড়ুন: নমনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েও মিছিলে গরহাজির শুভ্রাংশু, রয়ে গেল জল্পনা
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩ হাজার ৭৭১, দৈনিক সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের
টিকা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতের বাজারে আনার প্রস্ততিও শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন। সিরাম ইনস্টিটিউটের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর চিকিৎসক সুরেশ যাদব জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের সবুজ সঙ্কেত মিললে আগামী মার্চেই ভারতের বাজারে এসে যেতে পারে টিকা। এ ছাড়াও আর একটি সংস্থা ভারত বায়োটেক-এর বানানো টিকাও (‘কোভ্যাক্সিন’) রয়েছে এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে।
ও দিকে রুশ টিকা স্পুটনিক-এর ট্রায়াল ভারতে শুরু হওয়ার পর তা মাঝপথে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল। সেই টিকা এ দেশে যারা বানাচ্ছে রেড্ডিজ ল্যাবরেটরি। সেই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ দু’টি পর্যায় এক সঙ্গে ফের শুরু করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। ড্রাগ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল সেই অনুমোদন দিয়েছে সম্প্রতি।
এ ছাড়াও চিনা সংস্থা সাইনোভ্যাক-এর বানানো টিকা রয়েছে এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy