ছবি: এএফপি।
জোর খবর, বছর শেষের মধ্যেই বাজারে ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে চলেছে দু’টি আমেরিকান সংস্থা, মডার্না এবং ফাইজ়ার।
তারা ইতিমধ্যেই আমেরিকার সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছে বলেও শোনা গিয়েছে। তবে এ বিষয়ে ছাড়পত্র মেলার খবর এখনও মেলেনি। বরং গত কাল কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবডি থেরাপিকে ছাড়পত্র দিল আমেরিকার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ)।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা-চিকিৎসায় এই থেরাপি ব্যবহার করা হয়েছিল। এ বার সাধারণ মানুষের জন্য সরকারি ছাড়পত্র মিলল। তবে হাসপাতালে ভর্তি হননি, কিন্তু কো-মর্বিডিটি রয়েছে, শুধু এমন ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের চিকিৎসাতেই অ্যান্টিবডি থেরাপি ব্যবহার করা হবে।
থেরাপিটি হল, গবেষণাগারে তৈরি দু’টি অ্যান্টিবডির কম্বিনেশন। নাম, ‘আরইজিইএন-কোভটু’। ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা ‘রিজেনেরন’-এর তৈরি। গত কাল তাদের সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে আমেরিকার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গিয়েছে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি বা আইসিইউয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি অনেকাংশে আটকে দিচ্ছে থেরাপিটি। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-এর কমিশনার স্টিফেন হান বলেন, ‘‘এই মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপিটিকে অনুমোদন দেওয়ায় বেশ কিছু রোগীর হাসপাতালে ভর্তি আটকানো যেতে পারে। স্বাস্থ্য বিভাগও রোগীর ভারে নুব্জ।’’ ‘রিজেনেরন’-এর প্রেসিডেন্ট তথা সিইও নিয়োনার্দ শেফের বলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে ঝুঁকি রয়েছে এমন রোগীরা, সংক্রমণের প্রথম ধাপেই করোনার বিরুদ্ধে লড়ার জোর পাবেন।’’
আরও পড়ুন: তাদের তৈরি টিকার প্রতি ডোজের দাম ২৫-৩৭ ডলার, জানিয়ে দিল মডার্না
‘রিজেনেরন’ ছাড়াও ‘এলি লিলি’ নামের একটি সংস্থাকে সিন্থেটিক অ্যান্টিবডি থেরাপিতে ছাড়পত্র দিয়েছে আমেরিকা। মানুষের শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউনো সিস্টেম নিজে থেকেই সক্রিয় হয়ে যায় কোনও সংক্রমণ ঘটলে। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে এই ইমিউনো সিস্টেম দুর্বল। তাঁদের কথা গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে সমাধান তৈরি করেছে সংস্থা দু’টি। অ্যান্টিবডি কম্বিনেশনটি সার্স-কোভ-টু ভাইরাসের সারফেস প্রোটিনের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে কোষের মধ্যে তার সংক্রমণ আটকে দেয়।
মডার্না ও ফাইজ়ারকে এখনও ছাড়পত্র না-দিলেও সম্ভাব্য ভ্যাকসিন দু’টি আগাম কিনে রাখছে উন্নত দেশগুলি। মডার্না আজ জানিয়েছে, তারা ডোজ় প্রতি ২৫ থেকে ৩৭ ডলার দাম চাইবে বিভিন্ন দেশের সরকারের থেকে। তবে বিষয়টা অনেকটা নির্ভর করবে কী পরিমাণ ডোজ় কেনার আবেদন জানাচ্ছে কোনও দেশ।
আরও পড়ুন: নতুন করে লকডাউন নিয়ে দলেই বিরোধিতার মুখে বরিস জনসন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy