Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Italy

কড়া বিধিনিষেধে বিক্ষোভ ইটালিতে

বিক্ষোভের পিছনে কোনও রাজনৈতিক মদত আছে কি না, তা খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

কড়া বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ রোমে। ছবি রয়টার্স।

কড়া বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ রোমে। ছবি রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
রোম শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২০ ০৫:০০
Share: Save:

দ্বিতীয় দফার ঢেউয়ে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ মাথা চাড়া দেওয়ায় ইটালির বিভিন্ন প্রদেশে ফের বিধিনিষেধ কড়া করেছে সরকার। আর সেই কড়াকড়ি ঘিরেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের আকার নিল উত্তর ইটালির বিভিন্ন অংশ।

সোমবার রাতের এই অশান্তিতে তুরিনে আহত হয়েছেন অনেকে। বহু দোকানে লুটপাটও চালান বিক্ষোভকারীরা। মিলানে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, মিলানের রাস্তায় মশাল হাতে মিছিল করছেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অল্পবয়সি ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে অতি-দক্ষিণপন্থী এবং ইইউয়ের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তিও ছিলেন। এই বিক্ষোভের পিছনে কোনও রাজনৈতিক মদত আছে কি না, তা খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

ইটালিতে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ায় বার ও রেস্তরাঁগুলি সন্ধে ৬টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সিনেমা হল, জিম ও সুইমিং পুলগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতেই প্রবল আপত্তি বিক্ষোভকারীদের। পুলিশ জানিয়েছে, মিলানে ‘বেআইনি’ বিক্ষোভ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন ইটালির নাগরিক ও ১০ জন বিদেশি। ১৩ জন নাবালক।

জার্মানিতেও লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের মাত্রা। আজ দেশের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সপ্তাহের শেষে দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজার ছুঁতে পারে। মন্ত্রীর মতে, জার্মানির অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার পথে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে এই ধাক্কা। শুধু তা-ই না। গোটা ইউরোপের অর্থনীতি সঠিক পথে ফিরতে আগে যা আশা করা হয়েছিল তার তুলনায় বেশি সময় লাগবে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ১১ হাজার। মৃত ৪২। গোটা দেশের ২৮০টি অঞ্চল করোনা-হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ দিকে আমেরিকান ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজ়ার আজ জানিয়েছে, কোভিডের সম্ভাব্য টিকার চূড়ান্ত পর্যায়ের তথ্য প্রকাশ করার জন্য প্রস্তুত নয় তারা। ফাইজ়ার জানিয়েছে, যে নিরপেক্ষ সংস্থা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (ট্রায়াল) সফল হয়েছে কি না স্থির করবে তারা এখনও ট্রায়ালের ফলের অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন বিবেচনা করেনি।

হেল্থকেয়ার ইনভেস্টারদের মতে, এই নিয়ে এখনই ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব নয়। প্রচারের শুরু থেকেই যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে আসছেন, আগামী ৩ নভেম্বর নির্বাচনের আগেই প্রতিষেধক আনবেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর প্রশাসনই জানিয়েছে, প্রতিষেধক তৈরি হতে এ বছরের শেষ।

অন্য বিষয়গুলি:

Italy Coronavirus Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE