প্রতীকী ছবি।
জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ পর্যন্ত অন্তত তিনটি কোভিড ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। কিন্তু টিকা আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আবির্ভাব ঘটেছে মিউটেটেড স্ট্রেনের। ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়েছে অতিসংক্রামক করোনা ভ্যারিয়্যান্ট বা স্ট্রেন। ভ্যাকসিন আদৌ ওই স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কাজ করবে কি না, তা নিয়ে ধন্দে বিশেষজ্ঞেরা। এ অবস্থায়আজ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যায় ও অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা জুটি একই সঙ্গে একটি সুখবর এবং একটি খারাপ খবর দিল। তারা দাবি করেছে, ব্রিটেন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে তাদের ভ্যাকসিন চ্যাডক্স-১। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে সামান্যই কাজ দিচ্ছে প্রতিষেধকটি।
নতুন অতিসংক্রামক স্ট্রেন দু’টি নিয়ে বিশেষ ট্রায়াল চালিয়েছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এই ট্রায়ালের প্রধান তদন্তকারী বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, ‘‘শুধু মূল করোনা স্ট্রেনটিই নয়, ‘বি.১.১.৭’ স্ট্রেনের (ব্রিটেন স্ট্রেন) বিরুদ্ধেও সমান কার্যকরী চ্যাডক্স-১। এটির জন্যই ২০২০-র শেষে মারাত্মক সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল ব্রিটেনে।’’ তবে দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেনটির বিরুদ্ধে এর সামান্য কার্যকারিতাই দেখা গিয়েছে। এই গবেষণাপত্রটি এখনও প্রকাশিত হয়নি। আগামী সপ্তাহে কোনও জার্নালে প্রকাশ হওয়ার কথা।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের প্রধান সারা গিলবার্ট বলেন, ‘‘সব ভাইরাসেরই সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে মিউটেশন ঘটে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনই যেমন, এর জন্য বিশ্ব জুড়ে ভাইরাসটির উপর সব সময় নজর রাখা হয়। প্রত্যেক বছর ভ্যাকসিনটিকে আপডেট করা হয়।’’ গিলবার্ট জানান, এখনও পর্যন্ত যা বোঝা যাচ্ছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের তুলনায় করোনাভাইরাসের মিউটেশনের প্রবণতা কম। তবে এ ধরনের ভাইরাস অতিমারির চরিত্রই— যত দিন যাবে মিউটেশন ঘটবে। মিউটেটেড বা পরিবর্তিত স্ট্রেনগুলিই ক্রমশপুরনো স্ট্রেনের থেকে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের নতুন সংস্করণ (স্পাইক প্রোটিন আপডেট করতে হবে) প্রয়োজন হবে।
গিলবার্ট জানিয়েছেন, শুধু অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা নয়, সমস্ত টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোকেই এই সমস্যার মুখে পড়তে হবে। এর জন্য ক্রমাগত ভাইরাসের উপর নজরদারি চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
ভাইরাসের মিউটেশন নিয়ে চিন্তায় গোটা বিশ্ব। সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, চিন, রাশিয়া তাদের ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও তথ্য দিচ্ছে না। অথচ সেগুলি প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে ভাইরাসের মিউটেশন সামলানো আরও জটিল হয়ে যাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ফন ডের লেয়েনও চিনের কাছে তাদের ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করার আবেদন জানিয়েছেন।
চিনে শুধু ওই টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে, তা-ই নয়, পাকিস্তান, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, চিলি, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে, লাওসেও দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ইসলামাবাদকে কোভিড ভ্যাকসিনের ৫ লক্ষ ডোজ় পাঠিয়েছে বেজিং। আজ পাকিস্তানের সেনাদের হাতে কোভিড ভ্যাকসিন তুলে দিয়েছে চিনা সেনা। টিকার পরিমাণ অবশ্য জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy