—ফাইল চিত্র।
দৈনিক সংক্রমণ হাজারেরও অনেক নীচে নেমে গিয়েছিল। এক লাফে সেটা ফের সাড়ে ১০ হাজার ছুঁয়েছে। হাসপাতালে ভিড়। জায়গা নেই আইসিইউয়ে। ফের ভাইরাসের হানা ফ্রান্সে।
তবে শুধু ফ্রান্স-ই নয়, ইউরোপের একাধিক দেশে দ্বিতীয় সংক্রমণ-ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়া, ব্রিটেনে সরকারি ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। বিপদ কেটে গিয়েছে ধরে নিয়ে ধীরে ধীরে পুরনো চেহারায় ফিরছিল ইউরোপ। চিকিৎসকেরা বারবার করে বলছেন, দয়া করে কোনও জমায়েত করবেন না। তাঁদের কথায়, ‘‘গরমের ছুটিতে শেষমেশ দেখা হয়েছিল সকলের। এ বারে আবার সতর্ক হওয়ার পালা। সংক্রমণ বাড়ছে। যত ছোট ঘর, যত বেশি লোক, যত কম হাওয়াবাতাস খেলে, বিপদ তত বেশি।’’ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সব বয়সি লোকেদের মধ্যেই সংক্রমণ বেড়েছে। তবে সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে অল্পবয়সিদের (কুড়ি-তিরিশের গণ্ডিতে যাঁরা)।
ফ্রান্সে এ পর্যন্ত ৩০,৯১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বের মৃত্যু-তালিকায় তারা সপ্তম। দেশের ৪২টি অঞ্চলকে রেড জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যেই শুরু হচ্ছে ত্যুর দ ফ্রঁস। স্পেনেও দৈনিক সংক্রমণ ১০,৭৬৪ ছুঁয়েছে। যদিও সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে। স্পেনও মৃত্যু-তালিকার প্রথম দশে রয়েছে। স্পেনের ১৪ বছর বয়সি প্রিন্সেস লেনরকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। মাদ্রিদের একটি স্কুলে পড়ে সে। স্পেনে স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। সহপাঠী সংক্রমিত হওয়ায় নজরবন্দি রাজকন্যা।
ব্রিটেনে ফের সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞেরা। ‘ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন’-এর পিটার ওপেনশ বলেন, ‘‘দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সামলানো মুশকিল হবে। সোমবার লকডাউন থাকবে বলে রবিবার পার্টি করা যাবে না। এটা কোনও খেলা নয়।’’ আজ থেকে নতুন করে কড়াকড়ি জারি হয়েছে ব্রিটেনে। ৬ জনের বেশি এক জায়গায় জড়ো হলেই ১০০ পাউন্ড জরিমানা। একই অপরাধ দ্বিতীয় বার করলে ৩২০০ পাউন্ড। সপ্তাহান্তে পার্টি করা রুখতে নামানো হয়েছে পুলিশ বাহিনী। ব্রিটিশ প্রশাসনের বক্তব্য, সংক্রমণ ৩৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে এক সপ্তাহে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy