টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও শঙ্কায় আমজনতা। প্রতীকী ছবি।
এই মুহূর্তেই কোভিড-টিকা হাতে এলেও তা নিতে রাজি নন আমেরিকার প্রায় অর্ধেক মানুষ। এমনই দাবি করল সে দেশের এক সমীক্ষা। বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন টিকার অগ্রগতির উপরেও মার্কিন জনতার ওই অংশের আস্থা নেই। যে গতিতে করোনার টিকার কাজ চলছে, তাতে সেগুলির কার্যকারিতা নিয়েও সন্দিহান তাঁরা।
চলতি মাসের ৮-১৩ তারিখের মধ্যে আমেরিকার ১০ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ওই সমীক্ষা করেছে ওয়াশিংটনের পিউ রিসার্চ সেন্টার। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, আজই করোনার টিকা আবিষ্কার হলে, তা নিতে চান ৫১ শতাংশ মার্কিন। অর্থাৎ বাকি ৪৯ শতাংশ তা নিতে চান না। টিকা নিয়ে অনেকের মনে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কেবলমাত্র ২১ শতাংশ নিশ্চিত ভাবে জানিয়েছেন, তাঁরা টিকা নিতে ইচ্ছুক। অথচ কয়েক মাস আগেও চিত্রটা অন্য রকম ছিল। মে-তে এই সংস্থার সমীক্ষা জানিয়েছিল, ৭২ শতাংশ মার্কিন নাগরিক করোনার টিকা নিতে আগ্রহী।
টিকা নিয়ে ইঁদুরদৌড়ের পাশাপাশি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও শঙ্কায় আমজনতা। ৭৬ শতাংশ মার্কিনি তা নিয়ে শঙ্কিত। ৭২ শতাংশ জানিয়েছে, তাঁরা টিকার সম্পর্কে আরও বেশি খোঁজখবর নিয়ে তবে তা প্রয়োগ করবেন। অন্য দিকে, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩১ শতাংশের মতে, তাঁদের টিকার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়ল সামান্য, দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৬০ লক্ষ
আমেরিকায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি দিনই হু-হু করে বাড়ছে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ভারতীয় সময় দুপুর ৩টে পর্যন্ত সে দেশে সংক্রমিত হয়েছেন ৭০ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৯৮ জন। সেই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে দু’লক্ষেরও বেশি। টিকা ছাড়া যে করোনার গতিরোধ করা যাবে না, তা-ও স্পষ্ট। তবে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই টিকা নিয়ে কেন মতবদল মার্কিনিদের? সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশের মতে, কোভিড-টিকা নিয়ে যে গতিতে হুড়োহুড়ি করা হচ্ছে, তার পিছনে বিজ্ঞানের বদলে রাজনৈতিক সদিচ্ছাই প্রাধান্য পাচ্ছে। ৭৭ শতাংশের আশঙ্কা, টিকার কার্যকারিতা বা সুরক্ষা সংক্রান্ত দিকগুলো সঠিক ভাবে যাচাই না করেই তাতে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দেবে মার্কিন সরকার।
আরও পড়ুন: মৃত পেরোতে পারে ২০ লক্ষ: হু
মার্কিন জনতার এই আশঙ্কা নিয়ে ওয়াকিবহাল টিকা তৈরির কাজে যুক্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও। চলতি মাসেই ন’টি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা এ নিয়ে রীতিমতো বিবৃতি প্রকাশ করেছে। টিকা তৈরির কাজে যে কেবলমাত্র বিজ্ঞানকেই মাথায় রেখে এগনো হবে, তা-ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। এ ছাড়া, টিকার দৌড়ে একেবারে সামনের সারিতে থাকা অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার এবং মডার্নার মতো নামজাদা সংস্থা তাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সবিস্তার রিপোর্টে প্রকাশ্যে এনেছে। সাধারণত, এ ধরনের রিপোর্ট ট্রায়াল শেষে বার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy