Coronavirus Lockdown: A one person restaurant is opening in Sweden dgtl
International news
সারা দিনে এক জন ক্রেতা! অভিনব এই রেস্তরাঁ চালু হচ্ছে সুইডেনে
করোনাভাইরাসকে জব্দ করতে সামাজিক দূরত্ব অপরিহার্য। আর এই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিশ্ব জুড়েই আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশির ভাগ দোকানপাঠ, রেস্তোরাঁ থেকে কারখানা। চালু রয়েছে লকডাউন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২০ ১০:০০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
করোনাভাইরাসকে জব্দ করতে সামাজিক দূরত্ব অপরিহার্য। আর এই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিশ্ব জুড়েই আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশির ভাগ দোকানপাঠ, রেস্তোরাঁ থেকে কারখানা। চালু রয়েছে লকডাউন।
০২১৪
সুইডেনে এখনও পর্যন্ত সে ভাবে লকডাউন শুরু হয়নি ঠিকই, কিন্তু সেখানেও জোর দেওয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্বের উপর। তাই রেস্তরাঁ খোলা থাকলেও সেখানে খুব কম সংখ্যক ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটা টেবিলের মধ্যে দূরত্বও বজায় রাখা হচ্ছে নিয়ম মেনে।
০৩১৪
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও ক্রেতাদের সামনে কী ভাবে সুস্বাদু খাবার হাজির করানো যায়, তার এক অভিনব উপায় বার করলেন সুইডেনের এক দম্পতি।
০৪১৪
ওই দম্পতির নাম রাসমুস পারসন এবং লিন্ডা কার্লসন। খুব তাড়াতাড়ি এই অভিনব উপায় নিয়ে নতুন রেস্তরাঁ খুলতে চলেছেন তাঁরা। যার নাম রাখা হয়েছে ‘টেবিল ফর ওয়ান’।
০৫১৪
আগামী ১০ মে থেকে চালু হবে এই রেস্তরাঁ, চলবে ১ অগস্ট পর্যন্ত। কেন অভিনব বলা হচ্ছে একে?
০৬১৪
নাম থেকেই কিছুটা পরিষ্কার বিষয়টা। টেবিল ফর ওয়ান অর্থাৎ এখানে একটিই মাত্র টেবিল থাকবে এবং মাত্র এক জন ক্রেতাই আসতে পারবেন এই রেস্তরাঁয়।
০৭১৪
কী রকম সেই রেস্তরাঁ? মাঠের মধ্যে পাতা থাকবে একটি টেবিল-চেয়ার। তার কাছেই থাকবে রান্নাঘর। তবে খাবার পরিবেশনকারী বা অর্ডার নেওয়ার জন্য আলাদা করে কেউ থাকবেন না।
০৮১৪
ক্রেতা সরাসরি রান্নাঘরে থাকা রাঁধুনীর সঙ্গে কথা বলে খাবারের অর্ডার দেবেন। তার পর সেই খাবার সরাসরি রান্নাঘর থেকে দড়িতে ঝোলানো একটি বাক্সের মাধ্যে পৌঁছে যাবে ক্রেতার কাছে।
০৯১৪
একেবারে ঘরোয়া উপায়ে বানানো হবে সমস্ত খাবার। ফার্মে যা সবজি সে সময় থাকবে, সেগুলো দিয়েই বানানো হবে খাবার।
১০১৪
সারা দিনে ওই এক জন ক্রেতাকেই খাবার পরিবেশন করবে রেস্তরাঁটি। হাইজিন বজায় রাখতে দিনে দু’বার টেবিল-চেয়ার এবং খাবার প্লেটের জীবাণুনাশ করা হবে।
১১১৪
সারা দিনে মাত্র এক জন ক্রেতা নিয়ে কী ভাবে চলবে রেস্তরাঁ? নিশ্চয় ভাবছেন, এর জন্য অনেক গাঁটের কড়ি গুনতে হবে ওই ক্রেতাকে?
১২১৪
যদি আপনার মনেও এ রকম প্রশ্ন আসে, তা হলে কিছুটা ভুলই ভাবছেন। মালিক পারসন এবং কার্লসন দম্পতি একেবারেই তেমন মনোভাব নিয়ে রেস্তরাঁটি চালু করেননি। এখানে ইচ্ছামতো টাকা দেওয়ার ছাড় দিয়েছেন তাঁরা।
১৩১৪
কার্লসন জানাচ্ছেন, “এই অতিমারির কারণে অনেকেই কাজ হারাবেন, অনেকেই তাঁদের প্রিয় জনকে হারাবেন, তাঁরা হয়তো খুব খারাপ মানসিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাবেন। তাই তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা না ভেবে সকলকেই আমরা স্বাগত জানাচ্ছি রেস্তরাঁয়।”
১৪১৪
পারসন এবং কার্লসন মনে করেন, তাঁদের এই অভিনব চিন্তা এক জন কাজহারা বা প্রিয়জনহারা মানুষকে বাঁচার নতুন দিশা দেখাবে। নিজের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে সাহায্য করবে।