করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুত হচ্ছে আমেরিকার হাসপাতালগুলি। ছবি: রয়টার্স।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ডেল্টা রূপকে পিছনে ফেলে আমেরিকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে ওমিক্রন। কিন্তু সে দেশের সেন্টারস ফর ডিজিস অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর তথ্য জানাচ্ছে সংক্রমণের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার হার অনেক বেশি।
কোভিড-১৯ চিকিৎসা পদ্ধতি এবং পরিকাঠামোর বদল এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসক এবং অতিমারি বিশেষজ্ঞদের একাংশ। পাশাপাশি, করোনাভাইরাসের অন্য রূপগুলির তুলনায় ওমিক্রনের ‘ক্ষতিকারক ক্ষমতা’ কম হওয়াও এর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন, নিউ জার্সির মতো অধিকাংশ বড় শহরেই মোট সংক্রমণের ৯০ শতাংশেরও বেশি হচ্ছে ওমিক্রনের দ্বারা। সব মিলিয়ে আমেরিকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হলেও এখনও তা আতঙ্কে পরিণত হয়নি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের সময় আমেরিকার বিভিন্ন শহরের হাসপাতালগুলিতে বেডের অভাব দেখা দিয়েছিল। এ বার এখনও তেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। গত কয়েক মাসে হাসপাতালগুলিতে বেড এবং চিকিৎসা পরিকাঠামোর বৃদ্ধি এর অন্যতম কারণ। তবে সে দেশের একাধিক অতিমারি বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সংক্রমণের সংখ্যা চুড়োয় পৌঁছতে পারে। সম্ভাব্য সেই পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত হওয়ার কথা বলছেন তাঁরা।
আমেরিকার হাসপাতালগুলি অবশ্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় আত্মবিশ্বাসী। কানেকটিকাটের ইয়েল নিউ হ্যাভেন কোভিড হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘২০২০ সালের এপ্রিলে সর্বোচ্চ ৪৫১ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছিলেন এখানে। এখন আমাদের শয্যার সংখ্যা ১,৫৪১।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy