ফাইল চিত্র
করোনা-নিয়ন্ত্রণে আশা জাগিয়েছিল ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (এইচসিকিউ)। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়ে দিল, এইচসিকিউ-এর উপযোগিতা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কারণ, এই ওষুধ প্রয়োগে মৃত্যুহার কমার কোনও লক্ষণ মেলেনি।
অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে হু-এর জরুরি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক অ্যানা মারিয়া হেনাও রেসট্রোপো জানান, ম্যালেরিয়ার ওষুধটির কার্যকারিতা নিয়ে একাধিক দেশে গবেষণা চলছিল। সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অ্যানার কথায়, ‘‘গবেষণা রিপোর্টগুলি মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, এইচসিকিউ প্রয়োগে আলাদা কোনও উপকার হচ্ছে না। মৃত্যুহারও একই থাকছে।’’
এইচসিকিউ, রেমডেসিভিয়ার-সহ বিশ্ব বাজারে উপস্থিত থাকা বেশ কিছু ওষুধ পরীক্ষামূলক ভাবে করোনা-রোগীদের প্রয়োগ করে দেখা হচ্ছে, যদি কোনও উপকার হয়। গবেষকদের মতে, যত দিন না করোনার ভ্যাকসিন বা ওষুধ আবিষ্কার হচ্ছে, বাজারে উপস্থিত নিরাপদ অ্যান্টিভাইরাল ওষুধগুলি পরীক্ষা করে দেখতে অসুবিধা নেই। যেমন, এইচআইভি-র ওষুধ (লোপিনাভিয়ার/রিটোনাভিয়ার) পরীক্ষামূলক ভাবে রোগীদের দিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে তার রিপোর্টের উপরে নজর রাখছে হু।
পোলিয়ো ভ্যাকসিনও প্রয়োগ করে দেখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আমেরিকার ‘ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড স্কুল অব মেডিসিন’-এর দুই বিজ্ঞানী। সেই প্রস্তাবনা প্রকাশিত হয়েছিল ‘সায়েন্স’ জার্নালে। কিন্তু ভারতীয় বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পোলিয়োর ভ্যাকসিন সে ভাবে কাজ করবে বলে তাঁদের আশা নেই। সিএসআইআর-আইআইআইএম-এর ডিরেক্টর রাম বিশ্বকর্মা বলেন, ‘‘সংক্রমিত হওয়ার একেবারে শুরুতে বা অল্প অসুস্থ রোগীকে দিলে হয়তো সামান্য কাজ করবে। কিন্তু গুরুতর অসুস্থ রোগীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হলে কাজ হবে বলে মনে হয় না।’’
এ দিকে গোটা বিশ্বে সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। ৮৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত সাড়ে ৪ লক্ষেরও বেশি। আমেরিকা শীর্ষে। ২২ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি আক্রান্ত। মারা গিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি। আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আমেরিকায়। এ বারেও জিততে মরিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘‘করোনার হাতে আত্মসমর্পণ করে ফেলেছেন ট্রাম্প’’— এ কথা বলে তাঁকে ফের আক্রমণ করলেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন। বলেন, ‘‘পরিস্থিতির যেটুকু উন্নতি হয়েছিল, ওঁর উদাসীনতায় তা-ও শেষ হয়ে গেল।’’ ট্রাম্পের করোনা-টিমের প্রধান, এপিডেমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচির কথায়, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক, কিন্তু আমেরিকার বিজ্ঞান-বিরোধী চিন্তাভাবনাই বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy