হোয়াইট হাউসে করোনাভাইরাস নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মৃত ও আক্রান্তের হার কিছুটা কমেছে। তবে এখনও আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন কয়েকশো মৃত্যু হচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। তার মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করলেন, মৃত্যুর সর্বোচ্চ শিখর পার করে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিছু দিনের মধ্যেই এলাকাভিত্তিক লকডাউন তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য চিনকে ফের কাঠগড়ায় তুলে ট্রাম্পের তোপ, উহানের ল্যাবে তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল করোনাভাইরাস।
কোভিড-১৯ নিয়ে রুটিন সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন স্থানীয় সময় বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘‘যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, আমরা সংক্রমণের শিখর পেরিয়ে এসেছি। আশা করা যায়, সেটা ধরে রাখা যাবে এবং ধীরে ধীরে উন্নতি করব।’’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, ‘‘আমরা হব প্রত্যাবর্তনকারী শিশু, আমরা সবাই। আমরা আমাদের দেশকে ফেরত পেতে চাই।’’
উল্লেখযোগ্য ভাবে এ দিন ফের চিনকে নিশানা করেছেন ট্রাম্প। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেজিংয়ের সরকারি পরিসংখ্যানে অনেক কম করে দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই দিকে ইঙ্গিত করে চিনের নাম করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘কোনও কোনও দেশের এই সংখ্যা কি সত্যি বিশ্বাসযোগ্য?’’ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে নানা অসমর্থিত সূত্রে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ল্যাবে তৈরি করে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে দিয়েছে চিন। ট্রাম্পও সেই দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, উহানের ল্যাবরেটরিতে ভাইরাস তৈরির যে অসমর্থিত রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আমেরিকা।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ২০ লক্ষ
১ মে পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা হয়েছিল মার্কিন মুলুকে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ দিন জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নরদের সঙ্গে কথা বলে লকডাউন তোলার বিষয়ে ঘোষণা হবে বৃহস্পতিবার।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এখনও এত সংখ্যক সংক্রমিত মানুষ রয়েছেন। নতুন করেও আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন তুললে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে না তো? এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জবাব, ‘‘লকডাউনের মধ্যেও তো মৃত্যুমিছিল চলছেই।’’ একই সঙ্গে তাঁর যুক্তি, শারীরিক-এর পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অর্থনীতির যা হাল, তাতে বহু মানুষকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হতে পারে। লক্ষ লক্ষ মানুষ চাকরি খুইয়েছেন। বেকারত্বের হার নজিরবিহীন ভাবে বেড়ে গিয়েছে। ১৯৯২ সাল থেকে খুচরো বিক্রির হিসেব করা হচ্ছে। ওই সময়ের পর থেকে এত নিচে নামেনি খুচরো বিক্রি। কমে গিয়েছে ৮.৭ শতাংশ। তার মধ্যেই কানেকটিকাটের গভর্নর ঘোষণা করেছেন, ‘‘আমরা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরছি। তবে এটা নতুন স্বাভাবিকত্ব।’’
আরও পড়ুন: রাজস্থান ৩৫ হাজার, পশ্চিমবঙ্গ ৩১০০, কোন রাজ্যে করোনা টেস্ট কত
করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণাকারী মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় জন্স হপকিন্সের হিসেব অনুযায়ী মার্কিন মুলুকে এখনও পর্যন্ত ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। আক্রান্ত ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy