ছবি: এএফপি।
করোনা-প্রকোপের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইতিমধ্যেই পার করে ফেলেছে আমেরিকা— এমনটাই দাবি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তাই তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যেতে আর কোনও বাধা নেই, আজ থেকেই সেই কাজে হাত দেওয়া হবে। যদিও আমেরিকায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৫০০-এরও উপরে মৃত্যু বলছে অন্য বাস্তবের কথা। যা প্রেসিডেন্ট হয়তো দেখেও দেখছেন না, উল্টে বলছেন, করোনা রুখতে তাঁর কড়া নীতিই কাজে দিয়েছে। “তথ্য থেকেই স্পষ্ট, ভাইরাসের নতুন করে সংক্রমণের শীর্ষ পেরিয়ে গিয়েছি আমরা,” বলেছেন ট্রাম্প। দেশের বিভিন্ন অংশে লকডাউন তুলতে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। যে সব জায়গা কম ক্ষতিগ্রস্ত, সেখানে ১ মে-র আগেই লকডাউন তুলে নেওয়া যায় বলে মনে করছেন প্রেসিডেন্ট। অথচ হোয়াইট হাউসের করোনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সদস্য ডেবোরা বার্কস বলেছেন, ‘‘দেশের তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, অবস্থা ভালর দিকে। সেই গতি বজায় রাখতে হলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার নীতিতে এখনও স্থির থাকতে হবে’’।
গত সপ্তাহে আমেরিকায় আরও ৫২ লক্ষ মানুষ বেকার ভাতা পেতে আবেদন জানিয়েছেন। মার্কিন প্রশাসন সূত্রেই এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণের পর গত মাস থেকে এখনও পর্যন্ত অন্তত ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ বেকার ভাতার আর্জি জানিয়েছেন।
চিন-সহ বেশ কয়েকটি দেশে ফের নতুন করে আগামী নভেম্বর থেকে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ উঠতে পারে বলে দাবি সাংহাইয়ের এক বিশেষজ্ঞের। ঝাং ওয়েনহং নামে ওই বিশেষজ্ঞ করোনা মোকাবিলা দলে রয়েছেন। তাঁর দাবি, “আগামী শীতে ফের সংক্রমণ হতে পারে।” চিনে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৩৪১ জন। তবে এ বার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যতটা কঠোর পদক্ষেপ করতে হয়েছে, পরবর্তী কালে হয়তো ততটা প্রয়োজন হবে না। তাঁর কথায়, “চিন তখন লকডাউন করবে না। বাইরে থেকে আসা ব্যক্তির মাধ্যমে এখনও সংক্রমণ রয়ে গিয়েছে। মহামারি নিয়ন্ত্রণে তখন কিছু ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। জীবনযাপন, কাজকর্ম করা যাবে স্বাভাবিক ভাবে, কিন্তু প্রকোপ পুরোপুরি মুছে ফেলা যাবে না।” তাঁর বক্তব্য, ‘‘সব দেশ যখন একসঙ্গে রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, তখন সবাই আবার ভাল ভাবে বাঁচতে পারব।”
আরও পড়ুন: করোনার হটস্পট কলকাতা, কী ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন-পুরসভা?
আরও পড়ুন: কোভিড পরীক্ষায় আরও আগ্রাসী রাজ্য, এল নতুন নির্দেশিকা
ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, জার্মানির মতো বেশ কিছু দেশ ধীরে ধীরে লকডাউন তোলার দিকে অগ্রসর হলেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, আগামী কিছু সপ্তাহেও লকডাউন বহাল রাখতে চান তিনি। একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে ব্রিটেন। সে দেশে এক লক্ষেরও উপরে পৌঁছে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। বেলজিয়ামও গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। করোনা সঙ্কটের মুখে ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত-সহ অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি সম পরিমাণ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছিল। দেখা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়গুলির মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি এবং করোনায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এঁরা। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে জানানো হয়েছে, ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য দফতর এবং জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা এই বিষয়ে তদন্তে নেতৃত্ব দেবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক আজ বলেছেন, “এটি অত্যন্ত উদ্বেগের ব্যাপার। অবশ্যই তদন্ত হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy