Advertisement
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus Crisis

বিপুল টাকা দেয় আমেরিকা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চিনের দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ দেয় ভারত

হু-কে চিনের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি অর্থসাহায্য করে ভারত। এমনকি, পাকিস্তানের অর্থসাহায্যের পরিমাণও চিনের থেকে বেশি। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনও দেশ নয়। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও সাহায্য করে হু-কে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ১৩:৩৯
Share: Save:
০১ ২০
বিশ্ব স্বাস্থ্য স‌ংস্থা ‘হু’-এর বিরুদ্ধে তোপ দেগে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, হু চিনের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। ফলে বিশ্ব জুড়ে করোনা অতিমারি রোধ করা যাচ্ছে না। এই অভিযোগ এনে হু-এর জন্য মার্কিন অর্থসাহায্য বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য স‌ংস্থা ‘হু’-এর বিরুদ্ধে তোপ দেগে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, হু চিনের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। ফলে বিশ্ব জুড়ে করোনা অতিমারি রোধ করা যাচ্ছে না। এই অভিযোগ এনে হু-এর জন্য মার্কিন অর্থসাহায্য বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

০২ ২০
বিশ্ব স্বাস্থ্য সং‌স্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, তাদের কাছে এসে পৌঁছনো আর্থিক সাহায্যের ১৪.৬৭ শতাংশই আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সারা বিশ্বে আমেরিকা-ই সবথেকে বেশি সাহায্য করে হু-কে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সং‌স্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, তাদের কাছে এসে পৌঁছনো আর্থিক সাহায্যের ১৪.৬৭ শতাংশই আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সারা বিশ্বে আমেরিকা-ই সবথেকে বেশি সাহায্য করে হু-কে।

০৩ ২০
যে সব দেশ হু-কে সাহায্য করে, তাদের তালিকার একেবারে নীচের দিকে রয়েছে চিন। হু-কে চিনের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি অর্থসাহায্য করে ভারত। এমনকি, পাকিস্তানের অর্থসাহায্যের পরিমাণও চিনের থেকে বেশি। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনও দেশ নয়। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও সাহায্য করে হু-কে। আসুন, দেখে নিই কোন কোন উৎস থেকে কত পরিমাণ অর্থসাহায্য পৌঁছয় হু-এর কাছে।

যে সব দেশ হু-কে সাহায্য করে, তাদের তালিকার একেবারে নীচের দিকে রয়েছে চিন। হু-কে চিনের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি অর্থসাহায্য করে ভারত। এমনকি, পাকিস্তানের অর্থসাহায্যের পরিমাণও চিনের থেকে বেশি। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনও দেশ নয়। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও সাহায্য করে হু-কে। আসুন, দেখে নিই কোন কোন উৎস থেকে কত পরিমাণ অর্থসাহায্য পৌঁছয় হু-এর কাছে।

০৪ ২০
রাষ্ট্রপুঞ্জের জনস্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ গঠিত হয় ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল। এই মুহূর্তে তাদের বার্ষিক ৬২০ কোটি ডলার সাহায্য করে আমেরিকা।

রাষ্ট্রপুঞ্জের জনস্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ গঠিত হয় ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল। এই মুহূর্তে তাদের বার্ষিক ৬২০ কোটি ডলার সাহায্য করে আমেরিকা।

০৫ ২০
সাহায্যকারীর দ্বিতীয় স্থানে আছে বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। হু-এর কাছে আসা বার্ষিক সাহায্যের ৯.৭৬ শতাংশ আসে তাদের সংস্থা থেকে।

সাহায্যকারীর দ্বিতীয় স্থানে আছে বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। হু-এর কাছে আসা বার্ষিক সাহায্যের ৯.৭৬ শতাংশ আসে তাদের সংস্থা থেকে।

০৬ ২০
৮.৩৯ শতাংশ আর্থিক সাহায্য করে গ্যাভি অ্যালায়েন্স। জেনেভার এই সংস্থা কাজ করে পিপিপি মডেলে। এই সংস্থাতেও বিল গেটসের সংস্থা বড় অঙ্কের অর্থসাহায্য করে।

৮.৩৯ শতাংশ আর্থিক সাহায্য করে গ্যাভি অ্যালায়েন্স। জেনেভার এই সংস্থা কাজ করে পিপিপি মডেলে। এই সংস্থাতেও বিল গেটসের সংস্থা বড় অঙ্কের অর্থসাহায্য করে।

০৭ ২০
রাষ্ট্র হিসেবে আমেরিকার পরেই সাহায্যকারী হল ব্রিটেন। হু-এর মোট বার্ষিক আর্থিক বাজেটের ৭.৭৯ শতাংশ আসে তাদের থেকে।

রাষ্ট্র হিসেবে আমেরিকার পরেই সাহায্যকারী হল ব্রিটেন। হু-এর মোট বার্ষিক আর্থিক বাজেটের ৭.৭৯ শতাংশ আসে তাদের থেকে।

০৮ ২০
হু-এর বার্ষিক বাজেটের ৫.৬৮ শতাংশ দেয় জার্মানি। সারা বিশ্বে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং জার্মানি, এই তিন দেশই হু-কে ৫ শতাংশের বেশি আর্থিক সাহায্য করে।

হু-এর বার্ষিক বাজেটের ৫.৬৮ শতাংশ দেয় জার্মানি। সারা বিশ্বে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং জার্মানি, এই তিন দেশই হু-কে ৫ শতাংশের বেশি আর্থিক সাহায্য করে।

০৯ ২০
রাষ্ট্রপুঞ্জের আরও একটি শাখা ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স-এর থেকেও বড় অঙ্কের সাহায্য পায় হু। বার্ষিক ৫ শতাংশের বেশি সাহায্য আসে তাদের কাছ থেকে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের আরও একটি শাখা ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স-এর থেকেও বড় অঙ্কের সাহায্য পায় হু। বার্ষিক ৫ শতাংশের বেশি সাহায্য আসে তাদের কাছ থেকে।

১০ ২০
হু-এর সাহায্যকারীর মধ্যে‌ এর পর আছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক (৩.৪২ শতাংশ), রোটারি ইন্টারন্যাশনাল (৩.৩৩ শতাংশ) এবং দ্য ইউরোপিয়ান কমিশন (৩.৩ শতাংশ)।

হু-এর সাহায্যকারীর মধ্যে‌ এর পর আছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক (৩.৪২ শতাংশ), রোটারি ইন্টারন্যাশনাল (৩.৩৩ শতাংশ) এবং দ্য ইউরোপিয়ান কমিশন (৩.৩ শতাংশ)।

১১ ২০
রাষ্ট্র হিসেবে এর পর তালিকায় আছে জাপান। বার্ষিক যা সাহায্য পায় জাপান, তার ২.৭ শতাংশ আসে সূর্যোদয়ের দেশ থেকে।

রাষ্ট্র হিসেবে এর পর তালিকায় আছে জাপান। বার্ষিক যা সাহায্য পায় জাপান, তার ২.৭ শতাংশ আসে সূর্যোদয়ের দেশ থেকে।

১২ ২০
করোনাভাইরাস অতিমারির কেন্দ্রের যে দেশ, সেই চিন কিন্তু অন্যান্য ধনী দেশগুলির তুলনায় যথেষ্ট কম সাহায্য করে হু-কে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এসে পৌঁছনো বার্ষিক সাহায্যের মাত্র ০.২১ শতাংশ আসে চিন থেকে।

করোনাভাইরাস অতিমারির কেন্দ্রের যে দেশ, সেই চিন কিন্তু অন্যান্য ধনী দেশগুলির তুলনায় যথেষ্ট কম সাহায্য করে হু-কে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এসে পৌঁছনো বার্ষিক সাহায্যের মাত্র ০.২১ শতাংশ আসে চিন থেকে।

১৩ ২০
চিনের তুলনায় হু-কে দ্বিগুণেরও বেশি সাহায্য করে ভারত। বার্ষিক সাহায্যের প্রায় ০.৪৮ শতাংশ ভারত থেকে পায় হু। ভারতের এই সাহায্যের পরিমাণ ফ্রান্সের তরফে আসা সাহায্যের কাছাকাছি। বার্ষিক সাহায্যের ০.৫ শতাংশ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা পায় ফ্রান্স থেকে।

চিনের তুলনায় হু-কে দ্বিগুণেরও বেশি সাহায্য করে ভারত। বার্ষিক সাহায্যের প্রায় ০.৪৮ শতাংশ ভারত থেকে পায় হু। ভারতের এই সাহায্যের পরিমাণ ফ্রান্সের তরফে আসা সাহায্যের কাছাকাছি। বার্ষিক সাহায্যের ০.৫ শতাংশ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা পায় ফ্রান্স থেকে।

১৪ ২০
পাকিস্তানও চিনের তুলনায় হু-কে বেশি সাহায্য করে। বার্ষিক অর্থ সাহায্যের ০.৩৬ শতাংশ হু পায় পাকিস্তান থেকে।

পাকিস্তানও চিনের তুলনায় হু-কে বেশি সাহায্য করে। বার্ষিক অর্থ সাহায্যের ০.৩৬ শতাংশ হু পায় পাকিস্তান থেকে।

১৫ ২০
বিভিন্ন ভাবে নিজেদের ফান্ড যোগাড় করে হু। প্রথমটা হল স্বেচ্ছায় যাঁরা দান করেন। বার্ষিক সাহায্যের প্রায় ৮০ শতাংশই হু পায় এই সাহায্যকারীদের কাছ থেকে।

বিভিন্ন ভাবে নিজেদের ফান্ড যোগাড় করে হু। প্রথমটা হল স্বেচ্ছায় যাঁরা দান করেন। বার্ষিক সাহায্যের প্রায় ৮০ শতাংশই হু পায় এই সাহায্যকারীদের কাছ থেকে।

১৬ ২০
কারা এই স্বেচ্ছাসাহায্যকারী? হু-এর সদস্য ১৯৪টি দেশ বা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যে কেউ স্বেচ্ছায় হু-কে অর্থসাহায্য করতে পারে।

কারা এই স্বেচ্ছাসাহায্যকারী? হু-এর সদস্য ১৯৪টি দেশ বা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যে কেউ স্বেচ্ছায় হু-কে অর্থসাহায্য করতে পারে।

১৭ ২০
স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যে সাহায্য আসছে, সেখানেও দু’টি ভাগ আছে। প্রথম অংশ হল ‘কোর কন্ট্রিবিউটর’। তাদের সাহায্যের অর্থ হু নিজেদের পছন্দমতো ক্ষেত্রে ব্যয় করতে পারে।

স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যে সাহায্য আসছে, সেখানেও দু’টি ভাগ আছে। প্রথম অংশ হল ‘কোর কন্ট্রিবিউটর’। তাদের সাহায্যের অর্থ হু নিজেদের পছন্দমতো ক্ষেত্রে ব্যয় করতে পারে।

১৮ ২০
দ্বিতীয় অংশে আছে ‘স্পেসিফায়েড কন্ট্রিবিউটর’। তারা নির্দিষ্ট করে বলে দেয়, তাদের অর্থ কোন ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে।

দ্বিতীয় অংশে আছে ‘স্পেসিফায়েড কন্ট্রিবিউটর’। তারা নির্দিষ্ট করে বলে দেয়, তাদের অর্থ কোন ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে।

১৯ ২০
এ ছাড়া আছে হু-এর সদস্যপদের ফিজ। অর্থাৎ যে যে দেশ হু-এর সদস্য, তারা বিনামূল্যে সদস্যপদ পায় না। বিনিময়ে তাদের নির্দিষ্ট অর্থ দিতে হয়।

এ ছাড়া আছে হু-এর সদস্যপদের ফিজ। অর্থাৎ যে যে দেশ হু-এর সদস্য, তারা বিনামূল্যে সদস্যপদ পায় না। বিনিময়ে তাদের নির্দিষ্ট অর্থ দিতে হয়।

২০ ২০
কোনও দেশের আর্থিক অবস্থা এবং জনসংখ্যার নিরিখে এই সদস্যপদের মূল্য ধার্য করে হু। মোট আর্থিক অনুদানের ১৭ শতাংশই হু পায় এই সদস্যপদমূল্য থেকে।      (ছবি: আর্কাইভ, সোশ্যাল মিডিয়া)

কোনও দেশের আর্থিক অবস্থা এবং জনসংখ্যার নিরিখে এই সদস্যপদের মূল্য ধার্য করে হু। মোট আর্থিক অনুদানের ১৭ শতাংশই হু পায় এই সদস্যপদমূল্য থেকে। (ছবি: আর্কাইভ, সোশ্যাল মিডিয়া)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy