তালিকায় নেই পাকিস্তান, শেষ ১৫ বছরে ১৪ বার বর্ষসেরা টেস্ট বোলার তিন দেশ থেকে! ভারত কোথায়?

এই তালিকায় স্টেনের পাশেই রয়েছে এক দিনের বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান টেস্ট ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সের নাম। প্রোটিয়া পেসারের মতো তিনিও চার বার আইসিসির বর্ষসেরা বোলারের খেতাব পেয়েছেন। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা চার বার এক নম্বর স্থানটি ধরে রেখেছিলেন ক্যাঙারু বাহিনীদের এই জোরে বোলার।

২০১৯ সালে প্রথম বার আইসিসির বর্ষসেরা খেতাব পাওয়ার সময়ে কামিন্সের ঝুলিতে ছিল ৯০২ পয়েন্ট। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টেস্ট কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। মোট ৬৪ টেস্টে তাঁর শিকার ২৭৯ উইকেট। কামিন্সের সেরা বোলিং ২৩ রানে ছ’উইকেট। মোট ১৩ বার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন এই অসি পেসার।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ডানহাতি ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পর পর দু’বছর এবং ২০২৩ সালে তামিলনাড়ুর এই ঘূর্ণি বোলারকে পাঁচ দিনের ফরম্যাটে বর্ষসেরা বোলার হিসাবে বেছে নিয়েছিল আইসিসি। প্রথম দু’বার ৮৭১ ও ৮৮৭ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষস্থানে উঠেছিলেন তিনি।

২০১১ সালের দেশের হয়ে পাঁচ দিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয় অশ্বিনের। প্রথম ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সঙ্গে খেলেছিলেন তিনি। মোট ১০৫টি টেস্ট খেলেছেন চেন্নাইয়ের পেসার। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ৫৩৭ উইকেট। ইনিংসে পাঁচ উইকেটে পেয়েছেন ৩৭ বার। টেস্টে অশ্বিনের সেরা বোলিং ৫৯/৭। তাঁর বোলিং গড় আবার ২৩.৯৫।

আবার স্টেনের থেকে বেশি পয়েন্ট পেয়ে আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট বোলার হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার ভার্নন ফিল্যান্ডার। ২০১৩ সালে ৯০৯ পয়েন্ট পান তিনি। ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক হয় তাঁর। পাঁচ দিনের ক্রিকেটকে ফিল্যান্ডার বিদায় জানান ২০২০ সালে। কিট ব্যাগ গুছিয়ে রাখার আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।

মোট ৬৪টি টেস্ট খেলা প্রোটিয়া পেসার ফিল্যান্ডারের শিকার ২২৪ উইকেট। মোট ১৩ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেটে পেয়েছেন তিনি। তাঁর বোলিং গড় ছিল ২২.৩২। টেস্টে ২১/৬ ছিল তাঁর সেরা বোলিং। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর বর্তমানে ক্রিকেট প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করছেন এই প্রোটিয়া পেসার।

ইংরেজ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন আইসিসির টেস্ট বর্ষসেরা বোলারের খেতাব পান ২০১৭ সালে। ওই বছর সবাইকে পিছনে ফেলে ৮৯২ পয়েন্ট পেয়েছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে ২০০৩ সালে টেস্টে অভিষেক হয় তাঁর।

ইংল্যান্ডের হয়ে মোট ১৮৮টি টেস্ট খেলেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। পাঁচ দিনের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে উইকেট পেয়েছেন ৭০৪। টেস্টে তাঁর বোলিং গড় ২৬.৪৫। মোট ৩২ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেটে পেয়েছেন তিনি। ৪২/৭ হল তাঁর সেরা বোলিং।

৮৮০ পয়েন্ট পেয়ে আইসিসির বর্ষসেরা হন আরও এক প্রোটিয়া পেসার। তিনি হলেন কাগিসো রাবাডা। সালটি ছিল ২০১৮। দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে মোট ৬৮টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ১১২/৭ টেস্টে এখনও পর্যন্ত তাঁর সেরা বোলিং।

২০১৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলেন রাবাডা। পাঁচ দিনের ফরম্যাটে তাঁর শিকার ৩১৯। প্রোটিয়া পেসারের বর্তমান বোলিং গড় ২১.৭০। ইনিংসে মোট ১৬ বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

সব মিলিয়ে গত ১৫ বছরে আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট বোলারের তালিকায় ছ’বার জায়গা পেয়েছেন প্রোটিয়া পেসারেরা। চার বার অস্ট্রেলিয়া এবং এক বার ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারকে এই সম্মান দিয়েছে আইসিসি। আর দুই খেলোয়াড় মিলিয়ে বর্ষসেরা টেস্ট বোলারের খেতাব ভারত পেয়েছে চার বার। তালিকায় স্পিনার হিসাবে একমাত্র নাম রয়েছে সদ্য ক্রিকেটকে বিদায় জানানো এ দেশের অশ্বিনের।