—প্রতীকী চিত্র।
করোনাভাইরাস সরাসরি মস্তিষ্ককে আক্রমণ করায় কোভিড রোগীদের অনেকেই মাথার যন্ত্রণা, বিস্মৃতি বা বিভ্রান্তির মতো অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত গবেষণা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, করোনা-আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন সময়ে স্মৃতিনাশ ও নানাবিধ স্নায়বিক অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজিস্ট আকিকো ইওয়াসাকি তাঁর গবেষণাপত্রে জানাচ্ছেন, সার্স-কোভ-টু ভাইরাসটি মস্তিষ্কের ভিতরে বিভাজিত হয়ে প্রতিলিপি তৈরি করতে পারছে। এবং মস্তিষ্কের কোষে এটি অক্সিজেন পৌঁছতে দিচ্ছে না। ফলে সেই কোষ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। করোনা-গবেষণার
এই দিকটির প্রশংসা করে ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান এস অ্যান্ড্রু জোসেফসন বলেছেন, ‘‘মস্তিষ্কে এই ভাইরাস সরাসরি কোনও প্রভাব ফেলে কি না, তা বোঝা এই সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ তিনি বলছেন, এমনও অসম্ভব নয় যে, করোনা সৃষ্টিকারী সার্স-কোভ-টু ভাইরাসটি মস্কিষ্কের রক্তনালী ও কোষের মধ্যে থাকা দেওয়াল ভেঙে দিতে পারে।
বিশ্বে করোনা মৃত ৯,১১,৫৩৮ আক্রান্ত ২,৮২,৪১,৫৭৮ সুস্থ ২,০২,৪০,৯৯৪
আরও পড়ুন: বেজিংকে বার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর, বায়ুসেনায় রাফালের যোগ, চুপ প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন: মস্কোয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ।। আগে সেনা সরাক চিন: জয়শঙ্কর
এই দেওয়াল বা আবরণ অর্থাৎ ব্লাড-ব্রেন বেরিয়ার রক্তে উপস্থিত কোনও অপরিচিত পদার্থকে কোষে আঘাত করতে বাধা দেয়। যে কাজটি করে থাকে জ়িকা ভাইরাস। তবে এই বিষয়ে নিশ্চত হতে এখনও আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অ্যান্ড্রু।
সারা বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৯ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই অবস্থায় প্রতিষেধক আনার লড়াইয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হিসেবে স্পুটনিক-ভি-র প্রয়োগ শুরু করল রাশিয়া। মস্কোর ডেপুটি মেয়র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এক জন স্বেচ্ছাসেবককে রাজধানীর এক ক্লিনিকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। কিছু দিন আগেই স্পুটনিক-ভি-র প্রথম দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে ইতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নাল। তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্টও ভাল বলে জানিয়েছে মস্কো। এরই মধ্যে আবার স্পুটনিক-ভি-র প্রথম দফার ট্রায়ালের ফলাফল নিয়ে যে তথ্য দিয়েছিল মস্কো, তা-র গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইটালির ২৬ জন বিজ্ঞানী। ল্যানসেটের সম্পাদকের কাছে লেখা এক চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, রাশিয়ার দেওয়া তথ্য থেকে কোনও নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব নয়।
এ দিকে, গত কাল ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকা ঘোষণা করেছিল, ট্রায়ালে অংশ নেওয়া এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় ব্রিটেনে তারা অক্সফোর্ডের করোনা-টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল আপাতত বন্ধ রাখছে। তবে তা সত্ত্বেও এই বছরের শেষেই বাজারে করোনার প্রতিষেধক এসে যাবে বলে আজ আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্বস্তি বাড়িয়ে একটি অডিয়ো রেকর্ডিং প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড। যেখানে শোনা গিয়েছে, করোনাভাইরাস যে অত্যন্ত ‘সংক্রামক, বায়ুবাহিত ও বিপজ্জনক’ তা ফেব্রুয়ারির গোড়াতেই জানতেন ট্রাম্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy