Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

ফুকুশিমায় দিতে হবে ক্ষতিপূরণ

২০১১-র মার্চে ভূমিকম্প এবং সুনামির জেরেই ভয়াবহ পরমাণু বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ওই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ধারাবাহিক বিস্ফোরণ আর তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের জেরে বিপদ ক্রমশ বাড়ছে দেখে, সরকারই কারখানা সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা খালি করার কথা বলে।

সংবাদ সংস্থা
টোকিও শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩০
Share: Save:

তখন তিনি ১০২। এই বয়সে ভিটেমাটি ছাড়া মানে তো পরিবারের উপরে বোঝা বাড়ানো! এমন ভাবনা থেকেই ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে আত্মহত্যা করেছিলেন জাপানের ফুকুশিমা জেলার বাসিন্দা ফুমিও ওকুবো। ঘটনার ৭ বছর পরে আজ জেলা আদালত দাইচিতে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল অপারেটর সংস্থাকে ওই পরিবারের হাতে দেড় কোটি ইয়েন ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

২০১১-র মার্চে ভূমিকম্প এবং সুনামির জেরেই ভয়াবহ পরমাণু বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ওই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ধারাবাহিক বিস্ফোরণ আর তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের জেরে বিপদ ক্রমশ বাড়ছে দেখে, সরকারই কারখানা সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা খালি করার কথা বলে। সে সময়ে বৃদ্ধ ওকুবো ও তাঁর পরিবার থাকতেন দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে আইটেট গ্রামে। বাড়ির লোকেরা তল্পিতল্পা গোটাচ্ছেন দেখে বৃদ্ধ শুধু একটাই কথা বলেছিলেন— ‘‘অনেক দিন তো বাঁচলাম।’’ ব্যস, তার পরেই আত্মঘাতী হন ওকুবো।

সম্প্রতি কেউ কেউ ফিরে এলেও, এখনও আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে এলাকায়। আদালত তখনই বলেছিল, এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মূল অপারেটর সংস্থা টোকিও ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার কর্পোরেশনকে (টেপকো) এ দিনও একহাত নেয় আদালত। অভিযোগ, নিরাপত্তা খাতে মৌলিক বন্দোবস্তটুকুও করেনি তারা। এর আগেও, টেপকো-কে অন্য দুটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছিল আদালত।

অন্য বিষয়গুলি:

Fukushima nuclear disaster Compensation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE