—ফাইল চিত্র।
বলে ফেলেও শেষমেশ দাউদ করাচিতে রয়েছে, সে কথা অস্বীকার করে পাকিস্তান। এ বার দাউদকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা অস্বীকার করল ক্যারিবিয়ান দেশ ডমিনিকাও। তাদের দাবি, দাউদ ইব্রাহিম কমনওয়েলথ অব ডমিনিকার নাগরিক নন। কোনও কালেই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি তাঁকে।
সম্প্রতি ইসলামাবাদের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে করাচির ঠিকানা-সহ দাউদের নাম উঠে আসে। সন্ত্রাসে মদত জোগানো নিয়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইসলামাবাদ দাউদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শোনা যায়। সেই তথ্য অস্বীকার করে ইসলামাবাদ।
এর পর একাধিক ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়, বিভিন্ন নামে ভারত, পাকিস্তান, দুবাই এবং কমনওয়েলথ অব ডমিনিকার পাসপোর্ট জোগাড় করেছে দাউদ। ডমিনিকায় বিশেষ ইকনমিক সিটিজেনশিপ প্রোগ্রাম (ইসিপি) রয়েছে, যার মাধ্যমে সে দেশের অর্থনীতিতে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করলে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। অভিযোগ, তার মাধ্যমেই সে দেশের পাসপোর্ট জোগাড় করেছে দাউদ।
আরও পড়ুন: তিব্বতকে ‘দুর্ভেদ্য দুর্গ’ বানাতে মগজধোলাইয়ের বার্তা চিনফিংয়ের
কিন্তু ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির এই দাবি খারিজ করে দেয় ডমিনিকার সরকার। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘‘দাউদ ইব্রাহিম কাসকর কমনওয়েলথ অব ডমিনিকার নাগরিক নন। কোনও কালেই এ দেশের নাগরিক ছিলেন না তিনি। আর্থিক বিনিয়োগ বা অন্য কোনও উপায়েও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি তাঁকে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যম বা কোনও ব্যক্তি যদি এমন কোনও দাবি করে থাকেন, তা সর্বৈব মিথ্যা।’’
সেই সঙ্গে ডমিনিকা সরকার আরও জানিয়েছে, দেশের মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা। তাই বিনিয়োগ প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে গেলেও বেশ কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের বিভিন্ন সংস্থা তাঁর সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে। ওই সমস্ত সংস্থার রিপোর্টে যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশের জন্য বিপজ্জনক বলে গন্য না হন, তবেই তাঁকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত, মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বে তৃতীয় ভারত
১৯৯৩-এ মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২৫৭ জন প্রাণ হারান। জখম হন ৭০০-র বেশি মানুষ। সেই বিস্ফোরণের মূল চক্রী ছিল দাউদ ইব্রাহিম। গত কয়েক দশক ধরে ভারতে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’-এর তালিকায় তার নাম রয়েছে। পাকিস্তানে দাউদ নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে বলে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে দিল্লি। কিন্তু বরাবর তা অস্বীকার করে আসছে ইসলামাবাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy