বিরোধী দলগুলির পরে এ বার ভোট বয়কটের প্রচারে নামল বাংলাদেশের কয়েকটি নাগরিক সংগঠন। আর সেই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রণক্ষেত্র হল রাজধানী ঢাকা। পুলিশের সঙ্গে ভোট বয়কটকারী নাগরিক সংগঠনগুলির যৌথমঞ্চের সদস্যদের দফায় দফায় সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে সে দেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো জানিয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠনের পতাকায় মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের সামনে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোট বয়কটের সমর্থকেরা মিছিল করে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের সামনে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সে সময় শুরু হয় সংঘর্ষ।
আরও পড়ুন:
পুলিশি বাধা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত হয় সমাবেশ। সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লা কায়সর। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতন্ত্রী দল (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদউদ্দিন মাহমুদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়কারী ইমরান ইমন এবং মৌলানা ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ ছিলেন সমাবেশ মঞ্চে। সভা পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং তাদের সহযোগী জামাতে ইসলামি-সহ কয়েকটি দল নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নাগরিকদের কাছে ভোট বয়কটের আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে প্রচারেও নেমেছে তারা। একই পথে হেঁটেছে কয়েকটি বামদলের জোটও। বাংলাদেশ সমাজতন্ত্রী দল (বাসদ), বিপ্লবী কমিউনিস্ট লিগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক পার্টি-সহ একাধিক বাম দল রয়েছে ওই জোটে। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই নির্বাচনে অংশ না-নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলির সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই ভোট বয়কটের প্রচার চলছে ‘অরাজনৈতিক’ মঞ্চ গড়ে।